পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈদ্যবাটী ব্ৰহ্মা । বরুণ ! এ স্থানের নাম বৈদ্যবাট হইল কেন ? বরুণ । এখানে অনেকগুলি দেশীয় চিকিৎসক বাস করেন বলিয়া ঐ নাম হইয়াছে । দেবগণ দেখিলেন—নগরে ধুমধামের পরিসীমা নাই। চতুর্দিক হইতে অসংখ্য লোক তরিতরকারি এবং নানাপ্রকার দ্রব্যসামগ্ৰী বিক্রয় করিতে আসিয়াছে। স্থানটী লোকে লোকরণ্য । ব্ৰহ্মা । বরুণ । এখানে কি কোন মেলা আছে ? নচেৎ এত দ্রব্যাদি বিক্রয় করিতে আসিতেছে কেন ? বরুণ । আঞ্জে, এখানে কোন মেলা নাই । ক্রমে আমরা কলিকাতা মহানগরীর অতি নিকটে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছি । কলিকাতার প্রসাদে চতুৰ্দ্দিকৃস্থ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্থানগুলি নগরের আকার ধারণ করিয়াছে। এই বৈদ্যবাটীর হাট হইতে প্রত্যহ তরিতরকারি কলিকাতার বাজারে যায় ; এই জন্য এখানে এত লোক দ্রব্যসামগ্ৰী বিক্রয় করিতে আসিতেছে। এই সময় কতকগুলি স্ত্রীলোক দলবদ্ধ হইয়া গঙ্গাস্নানে আসিল । তাহারা দূরদেশ হইতে আসিতেছে বলিয়া সঙ্গে চাল চি ড়ে বাধিয়া আনিয়াছিল। উহাদের মধ্যে একটী স্ত্রীলোক কহিল “আহা ! তাড়াতাড়িতে রামেশ্বরকে কাচকলাগুলো বৈদ্যবাটতে এনে বেচে যেতে বলে আসতে ভুলে এলাম। বডেড পেকেছে—আজ ঘরে থাকলেই পচে যাবে।” এক রমণী কহিল, “পাকা কাচকলা কি বিক্ৰী হ’তো ?’ প্রথম কহিল “অহা দিদি । প’ড়তে পেতে না। সাহেবের পেলে, খেয়ে বঁাচত ।” ব্ৰহ্মা । বরুণ, এসব স্ত্রীলোক কোথায় যাচ্চে ? বরুণ । গঙ্গাস্নানে । “চল, আমরাও অগ্রে গঙ্গাস্বান করিয়া আসি । বলিয়া পিতামহ দেবগণ সমভিব্যাহারে গঙ্গাস্নান করিতে চলিলেন। ঘাটে উপস্থিত হইয়া দেখেন— —অসংখ্য লোক জলে স্নান করিতেছে। তীরে অনেকগুলি মহাজনী নৌকা লাগান বহিয়াছে। মূটের মাথায় করিয়া বস্তা উঠাইতেছে। কোন নৌকা উপুড় করিয়া ফেলিয়া দুপ দাপ শব্দে মেরামত করা হইতেছে। ঘাটের এক בריטי