পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈদ্যবাটী পাখে একখানি ভটকী মাছের নৌকা লাগিয়াছে, তাহার পাৰে একখানি চামড়া-বোঝাই নৌকা। উভয় নৌকার দুর্গন্ধে তিষ্ঠান ভার। অসংখ্য নৌকা পাইল তুলিয়৷ কলিকাত অভিমূখে যাইতেছে। পাইলে বেশ বাতাস পাওয়ায় দড়ির কড়কড় শব্দ হইতেছে । মাঝি হ’ল ধরিয়া মনের আনন্দে গান ধরিয়াছে – মা বাহের ওপর তুমি খাড়াইয়ে কি কর । তীর দিয়ে ধরচে ঠেসে, সাপ দিয়ে কেমড়ায়ে সাবো ॥ পক্ষীর উপর জুহা পায়, বাবুর মতন দেহ যায়, তার পাশে ঐ ধবলা ছুড়ি, রাখতি পার কি না পার । তার পাশে ঐ অাঙা ছোড়া বোধ হয় যেন কি বেী চোরা ; তার পাশে হলদি ছড়ি— ইন্দ্র । বরুণ ! ঐ নৌকা খানায় কি গান গাইতে গাইতে গেল ? বরুণ । দুর্গ-প্রতিমা বর্ণনা হ’চ্চে । পিতামহ ভাগীরথীর সৌন্দৰ্য্য দেখিয়া কাদিয়া ফেলিলেন এবং কহিলেন “বরুণ ! এখানেও কি মা নাই ?” - বরুণ । অণজ্ঞে না । ব্ৰহ্মা। তুমি গোপন ক’রো না, সত্য বল, ম) ত আমার বেঁচে আছেন ? বরুণ । অজ্ঞে, দেবতাদিগের কি মৃত্যু আছে ? এক্ষণে আপনি এই নিমাইতীর্থের ঘাটে স্বান করুন, মহাপুণ্য সঞ্চয় হইবে । ব্ৰহ্মা । নিমাইতীর্থের ঘাট কি ? বরুণ। এই ঘাটে চৈতন্যদেব তীর্থপর্যাটন-সময়ে স্নান করিয়া বিশ্রাম করেন। তজ্জন্য ইহার নাম নিমাইতীর্থের ঘাট হইয়াছে। দেবগণ স্বান আহ্নিক করিয়া উপরে উঠতেছেন, এমন সময়ে দেখেন— একটি বাবুর সহিত একটা ইতরজাতীয় স্ত্রীলোক যাইতেছে। বাবু কহিতেছেন “তোমাকে খুসি ক’রে বিদায় ক’বুব, কিন্তু যেন প্রস্থতির কোন কষ্ট না হয় ।” স্ত্রীলোকটী কহিতেছে, “কোন কষ্ট হবে না । আমি ঐ কাজ করিতে করিতে পেকে গেলাম। কিন্তু বাবু, তোমার বাড়ীতে আমার যত দিন দেরী হবে, তত দিনের টাকা ধ’রে নেবো । কলকাতায় ও দেশে আমার নামডাক আছে —তাই প্রত্যহ বিস্তর টাকা রোজগার করি।” ইন্দ্র। বরুণ ! উহারা-কারা এবং কি বলে ? סיף ס\