পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ। ঐ স্ত্রীলোকটি দাই। উহার কাজ—ঔষধ দ্বারা ভ্রুণহত্যা করা । ঐ বাবুর বিধবা ভগ্নী অস্তঃসত্বা । তাই দাই নিয়ে যাওয়া হচ্চে । ব্ৰহ্মা । শ্ৰীবিষ্ণু। য়্যা ! ভ্রুণহত্যা করবার জন্ত ? মাগী ব’ল্লে-আমি বাড়ী ব’সে বিস্তর টাকা উপার্জন করি । বরুণ । তবে ত বাঙ্গালায় ভ্রাণহত্যার স্রোত বিলক্ষণ প্রবল। তবে সত্বরেই এই পাপে বঙ্গ ডুবিবে! তীরে উঠিয়া দেবগণ একটী কালীবাড়ীতে প্রবেশ করিলেন ও দেখিলেন— কালীর সেবা হইতেছে । নৈবেদ্যাদির আয়োজনও মন্দ নহে। নারা । বরুণ ! এ কালী কাহার ? বরুণ । ইনি একজন মহাস্তের তত্ত্বাবধানে আছেন । ইহার কিছু বিষয় থাকায় সেবার বন্দোবস্তও ভাল । দেবতারা কালীবাড়ীর বাহিরে আসিয়া দেখেন—এক যুবা একটি মস্তকবিষ্টীন পাট লইয়। দাড়াইয়া আছে । কতকগুলি বেগু এই সময় রঙ্গভঙ্গীর সহিত স্নান করিতে আসিতেছিল। দলটা যুবার কাছে আসিয়া দাড়াইল । এক বেশ্ব কহিল “ও শালা ! পাটাটা কি একলা খাবি ? আমাদের আধখানা দে না ।” যুবা । স’রে যা ভাই, আমার কাছ থেকে স’রে যা । দাদা, ঠাকুরবাড়ীর মধ্যে আছেন, দেখতে পাবেন । বেগু । তোর দাদাকে তুই ভয় করিল-আমরা কি ডরাই ? আয়লো সকলে জুটে পাটাটা কেড়ে নিই। যুবা । না ভাই, না ভাই, তোদের একটা কিনে দেব। পায়ে পড়ি, সরে যা, তোদের মাইরি একটা কিনে দেব। এ দেখছিলনে কলকাতা হ’তে বাবুরা আসবেন বলে এখানে কাটাতে এসেছি। নিজের খাবার জন্যে হ’লে কি এখানে আসি ; বাড়ীতেই নিকেশ ক’বৃতাম । “দূর গুয়োটা, একটা পাটা দিতে পাবলিনি ?” বলিয়া বেগুীগণ হাতে হাসতে চলিয়া গেল । - - ব্ৰহ্মা। বরুণ, এ কি । পিতা এমন সব ছেলে জন্ম দিয়াছেন যে বেখার বিষ্ঠা খেয়ে মলেন । উপ। কর্তা-জেঠ৷ . এক আধজন নয়, এই একপাল মাগীর বিষ্ঠা তার মুখে তাংড়াবে কেমন ক’রে ? দেবগণ ইহার পর একটা দোকানে যাইয়া জলযোগ করিতে লাগিলেন। Vóግ ፀ