পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারকেশ্বর ঘোষকে কহেন, “তুমি সন্ন্যাসী হইয় আমার সেবা কর।” মুকুন্দ ঘোষ তদবধি তারকেশ্বরের আজ্ঞায় সন্ন্যাসী হইয়া সেবা করিতে লাগিল। এ দিকে তারকেশ্বর বৰ্দ্ধমানের মহারাজকে স্বপ্নে দেখা দিয়া কহিলেন, “আমি অনাবৃত স্থানে থাকিয়া বড় কষ্ট পাইতেছি, আমাকে একটা বাসগৃহ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেও। রাজা স্বপ্নদর্শনে ইহার মন্দির ও বিষয়াদি করিয়া দিলেন । তৎপরে ইহার নিকট মানসিক করিয়া লোকের উৎকট পীড়াদি আরোগ্য হইলে পূজা দিতে থাকায় ক্রমে ইহার অতুল ঐশ্বর্য হইয়াছে এবং মহান্তের রাজা উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছেন। এইরূপ কথোপকথন করিতে করিতে দেবগণের সে রাত্রি অতিবাহিত হইল। প্রাতঃকালে একজন ব্রাহ্মণ আসিয়া কহিল “আপনারা কত মূলোর ডালার পূজা দিবেন ?” নারা । দুই আনার । ব্রাহ্মণ । দুই আনার কি ডালা হয় মহাশয় ? নগর । তবে দশ পয়সার । ব্রাহ্মণ । আট আনা মূল্যের কম ডালা নাই । ব্ৰহ্মা । তাই হবে । এক্ষণে আমাদের অগ্রে কি করা উচিত ? ব্রাহ্মণ । আপনার কি কোন পূজা মানা আছে ? ব্ৰহ্মা । ইl, ঐ ছেলেটর পীড়া হওয়ায় কিছু পূজা মানিয়াছিলাম । ব্রাহ্মণ । তবে আপনার মহান্ত মহারাজের গদীতে অস্থিন । র্তাহাকে সেই পূজার পয়সা নগদ দিতে হইবে । নারা । তা দেব কেন ? যখন পূজা মেনেছি, পূজার উপকরণ কিনে দেব । ব্রাহ্মণ । অজ্ঞে, তা হবে না ; যা নিয়ম তা করতেই হবে । উপ। ঠাকুর-কাকা । চল না, তবু চেহারা খান দেখা হবে । লোকে যে পয়সা খরচ ক’রে কত কি দেখে থাকে ! এই কথায় দেবগণ হাস্ত করিয়া ব্রাহ্মণের সহিত মহান্তের গদীতে ৰাইয়। উপস্থিত হইলেন । দেখেন—মহাস্ত মহারাজ কাছারি ঘর আলো করিয়া বসিয়া আছেন। নিকটে দেওয়ান প্রভৃতি উপবিষ্ট । যাত্ৰিগণ আসিয়া পূজা মানার টাকা, আধুলি, সোনা, রূপ দেওয়ানের হস্তে দিয়া প্রস্থান করিতেছে। পিতামহ দেওয়ানের নিকটে যাইয়া কহিলেন “পূজা মানার চারিট পয়স৷ লউন ৷” দেওয়ানজী "হো হে৷” শবে হাস্ত করিয়া কহিলেন “মহারাজ ! এরা চাবি পয়সার পূজা দিতে এসেছে।” ❖ላ::