পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারকেশ্বর দেবগণ নাপিতকে বিদায় দিয়া পূৰ্ব্বোক্ত ব্ৰাহ্মণের সহিত দোকানে ডালার ফরমাস দিতে চলিলেন। যাইতে যাইতে ব্রাহ্মণ কহিল "আপনার কত মূল্যের ডালা চাই ?” ব্ৰহ্মা। চারি অান মূল্যের । ব্রাহ্মণ। ও হরি । আপনারা কোন দেশের লোক মহাশয় ? চারি আনা মূল্যের কি ডাল বিক্রয় হয় ? আচ্ছা—বাবাকে ত পেট পুরে খেতে দেবেন ? নারা । চারি অনায় ক্ষুধা যাবে না ? ভাল—কত মূল্যের ডাল বিক্রয় হয় ? ব্রাহ্মণ। দশ টাকা হইতে পঞ্চাশ টাকা মূল্যের পর্যন্ত ডাল আছে। নারা । কম মূল্যের অাছে কিনা ? ব্রাহ্মণ । কম মূল্যের মধ্যে ঐ দশ টাকার । নারা । এক টাকার মত দেবো । তোমাদের বাবা কি সৰ্ব্বগ্রাস করতে ব'সেছেন ? উপ। ঠাকুর কি আর খান ? যা কিছু খায় মহাস্ত । ব্রাহ্মণ একজন দোকানীকে এক টাকার মত একখানি ডালা সাজাইতে বলিয়া দেবগণকে দুধকুমড়া নামক দীঘিতে স্নান করাইতে লইয়া চলিল । স্বানাস্তে সকলে আসিলে দোকানী তাহাদিগকে ভাল প্রদান করিল। ডালায় একটা ওলা, একটী কলা, চাট্রি আতপ চাউল ও দুই চারিট বিল্বপত্র ছিল । উপ। এই কি এক টাকার ডালা ? দোকানী । বাবু! ওর বেশী আমরা কোথা থেকে দেব ? আমাদের মহাস্তকে একমুঠো টাকা জমা দিতে হয়, সে টাকা ত এর মধ্য হতেই তুলতে হবে । উপ ডগলা লইয়া অগ্রে অগ্রে এবং দেবগণ পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন । যাইবার সময় নারায়ণ ব্রাহ্মণকে কহিলেন, “আম্বন মহাশয় । পূজা করাবেন না ?” ব্রাহ্মণ কহিল, “আপনারা চলে যান, মন্দিরে পূজারি ব্রাহ্মণ অাছে। পূজা করান আমাদের কাজ নহে।” দেবতারা অদৃপ্ত হইলে ব্রাহ্মণ দোকানীকে কছিল, “দোকানী ভাই ! আমার অংশের পয়সা দেও।” দোকানী কহিল, “অবশ্ব দেব ; ভাল প্রতি টাকায় ছয় জানা যেমন চুক্তি আছে, সে পয়সা তোমাকে কেন না দেব ?”