পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন এদিকে দেবগণ “জয় তারকনাথ ! ব্যোম তারকনাথ !” শব্দ করিতে করিতে ঠাকুরবাড়ীর স্বারের নিকট উপস্থিত হইলেন ; কিন্তু পাহারাওয়ালা দ্বার ছাড়িল না । ব্ৰহ্মা । বরুণ ? এ কি ? ধৰ্ম্মমন্দিরের দ্বার বন্ধ ? বরুণ । অজ্ঞে ! কালটী এমি প'ড়েছে- কোনও বিষয়েই পয়সা না হ’লে নিস্কৃতি নাই। এই দ্বারবানকে কিছু না দিলে ভিতরে প্রবেশ করতে দেবে না । দেবগণ দ্বারবানকে কিছু দিয়া ভিতরে প্রবেশ করিলেন। প্রবেশ করিয়া দেখেন—অসংখ্য লোক নাটমন্দিরে শয়ন করিয়া,—কেহ রোগ ভাল হইবার জন্য, কেহ সস্তান হইবার জন্য হত্যা দিতেছে এবং সম্মুখে এক বৃহদাকার মন্দির । সকলে মন্দিরের দ্বারে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “ঐ যে মন্দিরের মধ্যে একটি গহবর দেখিতেছেন, উহারই মধ্যে তারকেশ্বর আছেন। গহবরের উপরিভাগট রৌপ্যনিৰ্মিত ডেকে ঢাকা রহিয়াছে । তারকেশ্বর একটা অনাদি-লিঙ্গ শিব । যাত্রীদিগের মধ্যে যদি কেহ বেশী পয়সা খরচ করে, তাহা হইলে গহবরমধ্যে হস্ত দিয়া স্পর্শকুভব করিয়া দেখিতে দেয়।” সকলে এইরূপ গল্প করিতেছেন, এমন সময় একজন পুরোহিত ছুটিয়া আসিয়া দেবগণের হস্ত হইতে ডালাখানি লইয়া গৃহের এক কোণে ঢালিয়া রাখিল এবং ডালার উপর দুই চারিটি বিশ্বপত্র, চারিটি আতপ চাউল এবং যৎসামান্ত ওলাভাঙ্গা প্রসাদস্বরূপ দিয়া কহিল, “আপনার বাহিরে যান ।” ব্ৰহ্মা ! “দেখব না ?” পুরোহিত । দেখা কি আর সমস্ত দিনে শেষ হবে না ? আপনারা একী দেখলে অন্যান্য যাত্রীরা দেখবে কি ? দেবগণ মন্দিরের পাশ্বে একস্থানে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “এই যে প্রস্তর পড়িয়া রহিয়াছে, লোকে বলে ইনিই মুকুন্দ ঘোষ। ওদিকে ঐ যে কতকগুলি কবর দেখিতেছেন, উহাতে অনেকগুলি মহাস্তকে রাখা হইয়াছে। মহাস্ত হইতে হইলে সংসারধর্শ্ব এবং পিতা মাতাকে পরিত্যাগ করিয়া আসিতে হয়।” উপ। বরুণ-কাকা । আমার মহাস্ত হ’লে হয় না ? নারা । দূর হতভাগা ছেলে ! তোর বাপ মা বেঁচে থাক, তুই কি দুঃখে মহাস্ত হবি ? এই সময় পাহারাওলা চীৎকার করিয়া কহিল, “যাত্ৰিগণ বাহিরে যাও— ভ৮২