পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারকেশ্বর মহাপ্ত মহারাজের পূজা আসিতেছে, তোমাদের আর ভিতরে থাকিবার হুকুম নাই।” ইন্দ্র। বরুণ ! মহান্তের পূজার সময় অন্ত লোককে থাকিতে দেয় না কেন ? বরুণ। মহাস্ত লোকের নিকট এই ভাব প্রকাশ করেন যে, ঐ সময় র্তাহার শিবের সহিত কথা হয়। তিনি শিবকে বিষয়াদি সম্বন্ধে অনেক পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিয়া লন । তদ্ভিন্ন শিবকে “এ খাও, ও খাও” বলিয়া হাতে পেপে ক্ষীর প্রভৃতি তুলিয়া তুলিয়া দেন। তিনি “আর খেতে পারিনে” বল্পেও ছাড়েন না । দেবগণ এই কথা শ্রবণে হাস্ত করিতে করিতে বাহিরে আসিলেন । ওদিকে শঙ্খ ঘণ্টা বাজাইয়া মহান্তের পূজা আরম্ভ হইল। পূজা সমাপ্ত হইলে মহাস্ত শিবিকারোহণে, অগ্রে পশ্চাতে পাহারায়, দেবালয় হইতে বাহির হইয়া রাজপ্রাসাদাভিমুখে চলিলেন। ইন্দ্র । তারকেশ্বর চ'ল কলা খেয়ে মরেন, মুখ দেখছি মহাস্তের } বরুণ। স্থখ ব’লে স্থখ ! শিবগঙ্গার দক্ষিণ পশ্চিম কোণে যে একটা সুন্দর অট্টালিকা দেখিয়াছ, তাহাতেই মহাস্ত বাস করেন । ইহার এত সুখ যে, রূপার খাটে শয়ন করেন, সোনার থালে ভাত খান। গৃহে কত সোনা ও রূপ বান্ধান হক এবং ফর সী আছে। বাবুর গৃহে টানা-পাখা টাঙ্গন এবং নিজেই সখ ক'রে দেওয়ালে বিত্র আয়ন টাঙ্গাইয়া রাখিয়াছেন । ব্ৰহ্মা। তারকেশ্বরের সেবা কিরূপ হয় ? বরুণ। বেলা একটা দেড়টার সময় ইহার মজুই-ভোগ অর্থাৎ পায়স রাধিয়া ভোগ দেওয়া হয় । বেলা দুইটা আড়াইটার সময় শৃঙ্গার-বেশ হয় অর্থাৎ শিবকে পুষ্পাদি দ্বারা স্বশোভিত করিয়া যাত্রীদিগকে দেখান হয়। রজনীতে শিৰ লুচি ও মিষ্টান্ন প্রভৃতি আহার করেন। আহারের পর একটা ধুম্বচী আকারের কঙ্কীতে অৰ্দ্ধপোয়া আন্দাজ গাজা সাজিয়া তাহাতে তালের জটার আগুন দিয়া গুড়গুড়িতে বসাইয়া শিবকে ধুমপান করিতে দেওয়া হয়। ঐ সময়ে কোন যাত্রীর মন্দিরমধ্যে প্রবেশ করিবার অনুমতি নাই। তবে বাহিরে দাড়াইয়া গুড়গুড়ির শব্দ শুনিবার অধিকার অাছে। তদ্ভিন্ন কিছু সময়ের পর কৰেট বাহিরে আনিয়া উপুড় করিয়া ঢালিয়া দেখান হয় যে, শিব সমস্ত গাজা খেয়ে গুল ক’রে ছেড়ে দিয়েছেন। ব্ৰহ্মা। নারায়ণ! দেখ—কে বলে কলিতে দেবতা নাই ?