পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেৰগণের মর্ত্যে আগমন দেবগণের নিকটে একজন কলু দাড়াইয়া ছিল, দেবগণকে জিজ্ঞাসা করিল, “মহাশয়েরা এখানে কি করিতে আসিয়াছেন ?” নারা । এই ছেলেটার একটা ফোড় হওয়ায় তারকেশ্বরের পূজা মানা ছিল, সেই পূজা দিতে আসিয়াছি ! কলু। আপনারা এত কষ্ট করে না এসে মহাস্তের ঘানির এক ছটাক আন্দাজ তেল কিনে ঐ স্থানে দিলেই ভাল হয়ে যেত। ব্ৰহ্মা । বরুণ ! এ কি বলে ? মহাস্তের ঘানি আছে না কি ? বরুণ। আজ্ঞে না, মহাস্তকে চরিত্র-দোষের জন্য ঘানিকলে জুতে ভৈল বাহির করিয়া লওয়া হইয়াছিল, তাহতেই ও এ কথা বলিতেছে । ব্ৰহ্মা । মহাস্ত হিন্দু-দেবমন্দিরের একজন অধ্যক্ষ । তাহার চরিত্র-দোষ ? বরুণ । আঞ্জে, মহাপ্তই এ প্রদেশের রাজা । সম্পত্তি যথেষ্ট আছে । মহাস্ত মাধবগিরি অল্প বয়সে গদি ও অতুল ঐশ্বৰ্ষ হাতে পাওয়াতেই দিকবিদিক-জ্ঞান শূন্ত ঐ রোগাক্রান্ত হন। বিশেষতঃ, উচ্চবংশীয়েরাও বিষয় পাইলে অর্থের সদ্ব্যবহার করিতে পারেন না । কিন্তু যাহাঁদের অন্ন-বস্ত্রের সংস্থান নাই, এমন সব ফকীরই প্রায় মহাস্ত হইয়া থাকে । অতএব তাহারা অর্থের সদ্ব্যবহার কিরূপে জানিবে ? কয়েক বৎসর হইল, মহাস্ত ও এলোকেশীর যে অভিনয় হয়, তাহা চিরকাল বঙ্গবাসীদিগের চিত্তপটে অঙ্কিত থাকিবে এবং সহজে আর কোন ভদ্রলোক পরিবারকে তীর্থস্থলে পাঠাইবেন না । ব্ৰহ্মা । মহাস্ত ও এলোকেশীর অভিনয় আমাকে শ্রবণ করাও । ধরুণ । এই তারকেশ্বরের সন্নিকটে কুমরুল নামক একটী পল্লিগ্রাম আছে । ঐ গ্রামে নীলকমল মুখোপাধ্যায় নামক এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ বাস করিত। নীলকমলের প্রথমা স্ত্রীর গর্ভজাত জ্যেষ্ঠা কন্যার নাম এলোকেশী । এলোকেশীর নবীন নামক এক যুবার সহিত বিবাহ হয়। নবীনের আত্মীয় স্বজন কেহ না থাকায়-স্ত্রীকে তাহার পিত্রালয়ে রাখিত এবং মাস মাস খরচ পাঠাইত । নীলকমলের প্রথম স্ত্রী গত হইলে দ্বিতীয় পক্ষে যে স্ত্রীর পাণিগ্রহণ করে, সেই স্ত্রীর সহিত মহাস্তের বিশেষ . ভালবাসা ছিল। মহাপ্ত একদিন যুবতী এলোকেশীকে চক্ষে দেখিয়া উন্মত্ত হয় এবং তাহার বিমাতাকে প্রলোভনে বশ করিয়া দূতীর কাজ করিতে বলে। ঐ বিমাতা নিজ পতি নীলকমলকে ‘রাজার খণ্ডর হবে, মহাপ্ত বিষয় করিয়া দেবে’ ইত্যাদি প্রলোভনবাক্যে বশীভূত করিয়া মেয়েটকে মহাপ্তের করে সমর্পণ করিবার পরামর্শ দেয় এবং স্ত্রীপুরুষের Woo-8