পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারকেশ্বর পরামর্শ স্থির হইলে, মাগী মেয়েকে তারকেশ্বরে ছেলে হইবার ঔষধ খাওয়াইতে লইয়া যায়। মহাস্ত প্রথম দিন বালিকা এলোকেশীকে সস্তান হইবার ঔষধ খাওয়ানোর ছলে মাদক দ্রব্য সেবন করাইয়া অচৈতষ্ঠ করিয়া সতীত্ব নষ্ট করে। তৎপরে নানান্ধপ সোনা রূপার গহনা পাইয়া এলোকেশীর মন মহাস্তের প্রতি অনুরক্ত হয় । সে সৰ্ব্বক্ষণ মহাস্তের ভবনে থাকিয়া স্ত্রী পুরুষের ন্যায় বাস করিতে থাকে। ক্রমে এই কথা চতুর্দিকে রাষ্ট্র হইল, নবীনেরও কানে কিছু কিছু উঠিল। নবীন সন্দিগ্ধচিত্তে শ্বশুরালয়ে আসিয়া এলোকেশীকে সবিশেষ জিজ্ঞাসা করিলে এলোকেশী কোন কথা গোপন না করিয়া সমস্ত বিষয় খুলিয়া বলিল । স্বন্দরী যুবতী স্ত্রীকে পরিত্যাগ করিতে নবীনের মন হইল না ; সে বলিল, “এলোকেশি ! তুমি আমাকে যথার্থ কথা বলায় তোমাকে ক্ষমা করিলাম—চল, তোমাকে কলিকাতায় লইয়া যাই।” ইহা বলিয়াপান্ধি বেহারার অনুসন্ধান করিতে যায়। মহাস্ত শুনিল,-এলোকেশী হাত ছাড়া হইতেছে। অতএব ছিনাইয়া লইবার জন্য ঘাটিতে ঘাটিতে পাহারা বসাইল । নবীন দেখিল—স্ত্রী পাই না, মহাস্ত এতকাল ভোগ দখল করিয়! আবার চায়, অতএব উভয়েই নিরাশ্বাস হই ; এই ভাবিয়া স্ত্রীকে আষবটতে কাটিয়া পুলিশে গিয়া উপস্থিত হয় । দেশে হুলস্থুল পড়িয়া গেল, রাস্তায় রাস্তায় এই কথা, এই গান, এই সম্বন্ধে কত পুস্তক বাহির হইতে লাগিল। দেশের যত ধনী লোক অর্থ দিয়া নবীনকে খালাস করিবার জন্য মকক্ষমা করিতে লাগিলেন । গোলযোগে মহাস্ত ধরা পড়িল। রাজবিচারে ইহার নাকে দড়া দিয়া জেলঘানিতে জুতে খাটি সরিয়ার তৈল বাহির করিয়া ছাড়িয়া দিয়াছে।* ইহার পর দেবগণ একখানি গাড়ী ভাড়া করিয়া আবার বৈষ্ঠবাটীর অভিমুখে চলিলেন। যাইতে যাইতে বরুণ কহিলেন, “তারকেশ্বরে চৈত্র মাসে গাজন উপলক্ষে এবং শিবরাত্রির সময় বিস্তর যাত্রী আসিয়া থাকে । যাত্রীদিগের মধ্যে স্ত্রীলোকই অধিক । ঐ রাত্রে অনেক কুচরিত্র পুরুষও উপস্থিত থাকে ও তাহারা সুন্দরী স্ত্রীলোক দেখিলে তাহাদিগের উপর নানারূপ অত্যাচার করে । এই অত্যাচার নিবারণ জন্য পুলিশ নিযুক্ত থাকে। এখানে সৰ্ব্বদা উৎকট রোগাক্রাস্ত ব্যক্তিরা—কি পাপে ঐ রোগ হইয়াছে এবং কি করিলে

  • কয়েক বৎসর হইল মহাস্ত মাধবগিরির মৃত্যু হইয়াছে। এক্ষণে তাহারই এক শিক্ষা মহাস্তগিরি করিতেছেন —সম্পাদক ।