পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐরামপুর বরুণ। দেখ দেবরাজ ! এইট কলেজের পুস্তকালয়। এই পুস্তকালয়টাতে বিস্তর উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট পুস্তক আছে। এখান হইতে সকলে এক স্থানে উপস্থিত হইলে উপ চীৎকার করিয়া কহিল, “বরুণ কাক ! আবার একটা কিসের কল ?” বরুণ । পিতামহ । কাগজের কল দেখুন। শ্রীরামপুরের কাগজ বলে একপ্রকার যে বিখ্যাত কাগজ ছিল, তাহা এই কলেই প্রস্তুত হইত। এক্ষণে কাগজের কল উঠিয়া গিয়া পাটের কল হইয়াছে। এখান হইতে যাইয়া সকলে শ্রীরামপুরের বাজারে উপস্থিত হইয়া দেখেন— নানা দোকানে নানাপ্রকার দ্রব্যাদি বিক্রয় হইতেছে । কোন দোকানে “রামে রাম” শব্দে কয়ালের চাউল ওজন করিতেছে । কোন দোকানে বেশের চারি কড়ার তুতে, অৰ্দ্ধ পয়সার সুপারি, দশ কড়ার তেজপাত বিক্রয় করিতে করিতে ক্লাস্ত হইতেছে । এক স্থানে বসিয়া মেছনীরা মৎস্ত বিক্রয় করিতেছে। অপর স্থানে তরিতরকারী বিক্রয় হইতেছে । দেখিতে দেখিতে একটী চার্চের নিকট যাইয়া উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “এই চাৰ্চটী ১৮•৫ সালে নিৰ্ম্মিত হয় ।” এখান হইতে সকলে ভাল ভাল অট্টালিকা দেখিতে দেখিতে চলিলেন এবং গোস্বামীদের বাটীর নিকট দিয়া মৃত গোলকচন্দ্র রায়ের বাটীর নিকট উপস্থিত হইয়া দেখেন,—এক ব্যক্তি করযোড়ে দাড়াইয়া করুণস্বরে কহিতেছে, *আপনার ঐরামপুরের মস্তকস্বরূপ, অতএব আমার প্রতি কৃপা করিয়া জাতিতে তুলিয়া লউন ।” or তৎপ্রবণে এক ব্যক্তি কহিতেছে,—“তা আমরা কেমন ক'রে পারি ? তুমি যবনের উচ্ছিষ্ট লইয়া সংসার ধৰ্ম্ম করিতেছে। তাহার হাতে খাইয়া ধর্ণের মাথা খাইতেছ। আমরা কি কারণে তাহার হাতে খাইয়া ইহকাল ওপরকাল খোয়াইব ?" নারা । বরুণ । বিষয়টা কি ? বরুণ। ঐ ব্যক্তির স্ত্রী একজন যবনের সহিত বাট হইতে পলায়। বাবুটী অত্যন্ত ঞ্জৈণ বলিয়া কেঁদে কেঁদে অস্থির হন ও শেষে অনেক কষ্টে অনেক অর্থব্যয়ে সেই পলান ধনকে গৃহে আনিয়া ঘরকন্না করিতেছে। সমাজ এই অপরাধে উহাকে সমাজচ্যুত করাতে লোকের বাড়ী বাড়ী করযোড়ে সাহায্য প্রার্থনা করিতেছে ।