পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন ব্ৰহ্মা । এ বাড়ীটি কাহার ? বরুণ । গোলকচন্দ্র রায় নামক এক ব্যক্তির । ইনি অত্যন্ত দানশীল ও ধাৰ্ম্মিক লোক ছিলেন। ইনি এমন দাতা ছিলেন যে, অস্থাপি বঙ্গদেশের অনেক লোক দিনটা ভাল যাইবার অাশায় প্রাতে উঠিয়াই মহাত্মা গোলক রায়ের নাম স্মরণ করিয়া থাকে । ব্ৰহ্মা । এদিকের ও সুন্দর বাড়ী কাহার ? বরুণ । শ্রীরামপুরের গোসাইদিগের । ব্ৰহ্মা । তুমি গোসাইটিগের বিষয় আমাকে বল । বরুণ । শ্রীরামপুরের গোস্বামীরা বঙ্গদেশের মধ্যে বহুদিনের সম্রাস্ত ও বিখ্যাত ধনী জমীদার । রামনারায়ণ গোস্বামী প্রথমে তাহার পৈতৃক ব্যবসা পরিত্যাগ করিয়া বাণিজ্য আরম্ভ করেন। তিনি শ্রীরামপুরের দিনামার সদাগরদিগকে দ্রব্যাদি বিক্রয় করিয়া যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করেন এবং সেই টাকায় বৰ্দ্ধমান, মেদিনীপুর ও পূর্ণিয়া জেলার বিস্তর জমীদারি খরিদ করেন। রামায়ণ গোস্বামীর পুত্রের নাম কমললোচন গোস্বামী । ইনি গবর্ণমেণ্টের অধীনে কমিসেরিয়েটের এজেণ্টের কার্য্য করিয়া যথেষ্ট ধন উপার্জন করিয়া হুগলী জেলায় বিস্তর বিষয় খরিদ করেন । র্তাহার পুত্র ঠাকুরদাস গোস্বামীও ঐ কাৰ্য্য করিয়া বিস্তর অর্থোপার্জন করেন এবং রাণাঘাটের পালচৌধুরীদিগের অবস্থা এই সময় খারাপ হওয়ায় তাহাদিগের অনেক বিষয় খরিদ করেন । এক্ষণে গোপীকৃষ্ণ গোস্বামী ও র্তাহার ভ্রাতারা এই অতুল ঐশ্বর্ষের উত্তরাধিকারী । শ্রীরামপুরে মাহেশ ও বল্লভপুর নামক স্থান আছে। তথাকার রাধাবল্লভ বড় বিখ্যাত । রথের সময় মাহেশে অত্যন্ত সমারোহ হইয়া থাকে। ব্ৰহ্মা । তুমি রাধাবল্পভের বিষয় আমাকে বল । বরুণ সাৰ্দ্ধদ্বিশত বৎসর পূৰ্ব্বে বল্লভপুর গ্রাম ছিল না ; তখন ঐ স্থানে অত্যন্ত জঙ্গল ছিল। ঐ সময় রুদ্ররাম পণ্ডিত নামক এক ব্যক্তি শ্রীরামপুরের অনতিদূরে চাতরা নামক গ্রামে মাতুলালয়ে বাস করিতেন। তাহার মাতুলগৃহে গৌরাঙ্গদেবের প্রতিমূৰ্ত্তি ছিল । একদিন রুজরামকে গৌরাঙ্গদেবের পূজা করিতে দেখিয়া তাহার মাতুল “তোমার এখনও পুজায় অধিকার হয় নাই” বলিয়া অত্যন্ত তিরস্কার করেন । ইহাতে রুদ্ররামের মনে অত্যন্তু ঘৃণা হয় ও বল্লভপুরের জঙ্গলের মধ্যে যাইয়া তপস্তা আরম্ভ করেন। তাহার তপস্তায় 4\డిఫ a