পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামপুর সন্তুষ্ট হুইয়া রাধাবল্লভ স্বপ্ন দেন, গৌড়ের নবাববাটীর অন্তঃপুরস্থ গৃহদ্বারের উপরে একখানি কৃষ্ণবর্ণ প্রস্তর অাছে। প্রস্তরখানি সৰ্ব্বদাই ঘামিয়া থাকে। তুমি ঐ প্রস্তর আনিয়া তোমার উপান্ত দেবতার মূৰ্ত্তি সংগঠন করিয়া উপাসনাদি কর—অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে।” রুদ্ররাম স্বপ্ন দেখিয়া গৌড় নগরে প্রস্থান করেন এবং নবাবের মন্ত্রী অত্যন্ত হিন্দু ছিলেন–র্তাহাকে সবিশেষ বলেন । মন্ত্রী “যে পাথর ঘামে সে পাথর বাড়ীতে রাখিলে মহা অমঙ্গল স্বটে”—এই কথা নবাবকে বলায়, নবাব পাথরখানি খসাইয়া জলে ফেলিয়া দিবার অনুমতি দেন। পাথর জলে ফেলিয়া দেওয়ায় রুদ্রব্রাম পণ্ডিত প্রাপ্ত হইলেন না, অত্যন্ত ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন । দৈববাণী হইল “তুমি মাহেশ যাও, তথাকার স্নানের ঘাটে ঐ পাথর প্রাপ্ত হইবে।” রুদ্ররাম পণ্ডিত তৎশ্রবণে মাহেশে আসিয়া প্রস্তরখানি প্রাপ্ত হইলেন । তিনি মুনিপুণ ভাস্কর ডাকাইয়া রাধাবল্লভ মুক্তি প্রস্তুত কবাইলেন । এমন সুন্দর মূৰ্ত্তি এদেশে দ্বিতীয় নাই। ঐ প্রস্তরে তিনটা মূৰ্ত্তি প্রস্তুত হইয়াছিল—বল্লভপুরের বাধাবল্লভ, খড়দহের শামসুন্দর এবং সাইবনের নন্দ দুলাল । মুরশিদাবাদের নবাবের কোন হিন্দু কৰ্ম্মচারী আকনা ও মাহেশের মধ্য হইতে কিয়দংশ ভূমি বিচ্ছিন্ন করিয়া লইয়া রাধাবল্লভকে প্রদান করেন এবং ঠাকুরের নাম অনুসারে এই স্থানের নাম বল্লভপুর রাখেন। ঐ সময় ঐ স্থানের বার্ষিক রাজস্ব ১৮ টাকা ছিল । ইহার দেড়শত বৎসর পরে রাজা নবকৃষ্ণ গ্রামটকে ভারজাই তালুক করিয়া দেন। ১৫৯৯ সালে কলিকাতার নয়ানচাদ মল্পিক রাধাবল্পভের মন্দির নির্মাণ করিয়া দেন ; ঐ মন্দির ভগ্নাবস্থায় ভাগীরথীতীরে বর্তমান আছে। ১৮৮৫ সালে গৌরচরণ মল্লিক বর্তমান মন্দিরট নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন এবং ঠাকুরের সেবার জন্য প্রাত্যহিক ২ টাকা বৃত্তি ধাৰ্য্য করিয়া দিয়াছেন । ১২৫৭ সালে প্রণামী লইয়া গোল হওয়ায় মাহেশের জগন্নাথ আর বুথের সময় রাধাবল্লভের গৃহে আসেন না । কলিকাতার শিবকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বল্লভের রথ ও জগন্নাথ নিৰ্ম্মাণ করেন। রাজা নবকৃষ্ণ সেবার্থ বল্লভপুর দান করেন। কলিকাতা বৌবাজারের শিবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের ভগিনী শ্ৰীমতী আনন্দময়ী ঠাকুরাণী ১২৪৫ সালে বল্লভপুরের ঘাট প্রস্তুত করিয়া দেন। ঘাটের দুই পার্থে দুইটী নহবতখানা আছে। কলিকাতার মতি মল্লিক রাসমঞ্চ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন। রুদ্ররাম পণ্ডিত বিবাহ করেন নাই ; তাহার ভ্রাতুষ্পুত্র রতিরাম, ঠাকুরের সেবার ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন। রতিরামের \ea)