পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারাকপুর দেবগণ নগরে প্রবেশ করিয়া দেখেন--রাস্তার একদিক দিয়া একদল গোরা যাইতেছে। অপর দিক্ দিয়া দুই চারি জন সিপাই চলিয়াছে। পিতামহ কহিলেন, “এ স্থানে আসিয়া আমার বড় ভয় করিতেছে। এ স্থানের নাম কি বরুণ ?” বরুণ। এ স্থানের নাম বারাকপুর । এখানে গবর্ণমেণ্টের বারিক ইত্যাদি আছে । নগরটার নাম চাণক্‌ ৷ কলিকাতা-সংস্থাপক জব চাৰ্ণক সাহেল এই স্থানে সৰ্ব্বদা বাস করিতেন। কথিত আছে চাৰ্ণক সাহেব একটা সুন্দরী হিন্দু বিধবাকে সহমরণে চিতা হইতে রক্ষণ করিয়া তাহারই পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন । ইহাদের উভয়ের এতদূর প্রণয় জন্মে যে, স্ত্রীলোকটর মৃত্যু হইলে সাহেব শোকে নিতান্ত অধীর হন। তিনি প্রত্যহ ঐ রমণীর কবরের নিকট যাইয়া রোদন করিতেন ও ভালবাসা দেখাইবার জন্য এক একট কুকুট বলি দিতেন। কবরটি অদ্যাপি এখানে বৰ্ত্তমান আছে । উপ । বরুণ-কাকী ! মাগী বাঙ্গালী, সাহেব ইংরাজ । পরস্পরের কথা কেমন ক’রে বুঝতে পারতো ? বরুণ। দেখুন পিতামহ । এই বারাকপুরেই সর্বপ্রথমে সিপাহী বিদ্রোহের সূত্রপাত হয় । এই স্থানের সিপাহীরা টোটা কাটিতে প্রথমে অস্বীকার করে । দেবগণ বারিকের নিকট দিয়া বড়বাজারে যাইয়া উপস্থিত হইলেন । উপস্থিত হইয়া দেখেন—নানা দোকানে নানাপ্রকার দ্রব্যাদি বিক্রয় হইতেছে । কোন দোকানের সম্মুখে বসিয়া চারিজন দোকানী তাস থেলিতেছে এবং উভয় পক্ষের স্বপক্ষ হইয়া আর চারি পাঁচ জন জয় পরাজয় ঘোষণা করিতেছে । খেলোয়াড়দিগের মধ্যে ঐ সময় কাহারও দোকানে খরিদার অাসায় সে নিকটস্থ অপর ব্যক্তিকে "দাদা, আমার হয়ে খেলত ভাই” বলিয়া ছুটিয়া গিয়া খরিদার বিদায় করিতেছে । কোন দোকানে দোকানী খাতায় হিসাব লিখিতেছে এবং এক একবার নিকটে টাঙ্গানো টিয়া পাখীর দিকে চাহিয়া “হরে কৃষ্ণ, হরে—কৃষ্ণ-কৃষ্ণ কৃষ্ণ—রাম রাম, পড় বাবা” বলিয়া চুমকুড়ী দিতেছে। কোন দোকানের দোকানী সুর করিয়া রামায়ণ পাঠ করিতেছে এবং চারিপাচ כלכסי ,《啤夺一发鲁