পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারাকপুর বরুণ। এই বারাকপুরের নিকটে মণিরামপুর প্রভৃতি কতকগুলি গওগ্রাম আছে । এই মণিরামপুরে ১৮১ • খৃষ্টাব্দে (সন ১২১৭ সালে ) দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন । ইহার পিতা গোলোকচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রধান কুলীন ব্রাহ্মণ ছিলেন । দুর্গাচরণ দশ বৎসর বয়সে কলিকাতায় আসিয়া হিন্দুকলেজে ভৰ্ত্তি হন এবং চারি বংসরের মধ্যে সিনিয়ার ডিপাট মেন্টে অর্থাৎ বিদ্যালয়ের উচ্চতম বিভাগে উখিত হয়েন । পঞ্চদশবর্ধমাত্র বয়ঃক্রমে অসাধারণ ধীশক্তি ও নৈসর্গিক প্রতিভাবলে দুর্গাচরণ প্রভূত মুখ্যাতি ও একটা বৃত্তি প্রাপ্ত হয়েন । এই সময়েই দুর্গাচরণ স্বধর্শ্বের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হইয়াছিলেন । অর্থের অনটনপ্রযুক্ত কলেজ ছাড়িয়া ইনি প্রথমে লবণের গোলায় চাকরী করেন। ইহার বিদ্যোপার্জনের ইচ্ছ। এতদূর বলবতী ছিল যে, লবণের গোলায় চাকরী-কালে একদা তিনি তথাকার দেওয়ান স্বপ্রসিদ্ধ দ্বারকানাথ ঠাকুর মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তাহার নিকট নিজ মনোভিলাষ ব্যক্ত করেন । স্বারকানাথ ঠাকুর দুর্গাচরণের পিতাকে আহবান করিয়া পুত্রকে কলেজে পুনঃ প্রবিষ্ট করিয়া দিতে অকুরোধ করিলেন । এইরূপে দুর্গাচরণ যদিও হিন্দুকলেজে পুনঃপ্রবিষ্ট হইলেন, কিন্তু তাহাকে অধিককাল তথায় বিদ্যাধ্যয়ন করিতে হইল না । বহু পরিবারের ভরণপোষণে পিতাকে অক্ষম দেখিয়া তিনি বৎসরের মধ্যেই পুনরায় কলেজ পরিত্যাগ করেন। ২১ বৎসর বয়ঃক্রমকালে দুর্গাচরণ মহাত্মা ডেভিড হেয়ারের সংস্থাপিত ইংরাজি বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শিক্ষকের কার্য্য প্রাপ্ত হইলেন । এই সময় ইনি চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়ন করিতে অভিলাষী হন। ইহার ডাক্তারি শিখিবার প্রধান কারণ এই—এক সময় ইহার স্ত্রীর পীড়ার সংবাদ ভৃত্যুমুখে শুনিয়া তাড়াতাড়ি বাট যাইলেন এবং চিকিৎসক লইয়া বাট প্রত্যাগত হইবার পূৰ্ব্বেই দুর্ভাগ্যক্রমে র্তাহার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এই ভয়ানক সময়ে স্বযোগ্য চিকিৎসকের অভাবে তাহার পত্নীকে হাতুড়ের চিকিৎসাধীনে থাকিতে হইয়াছিল। তিনি ইহার বিষময় ফল দেখিয়াই চিকিৎসা বিদ্যা শিক্ষা করিবেন—প্রতিজ্ঞা করেন । ইনি ২৮ বৎসর বয়সে পুনরায় দারপরিগ্রহ করিয়াছিলেন । এই সময়ে লড' উইলিয়াম বেটিক, সার এডওয়াঙ রাইন, ডেভিড হেয়ার প্রভৃতি মহাত্মাগণের যত্বে ও পৃষ্ঠপোষকতায় কলিকাতায় “মেডিকেল কলেজ” সংস্থাপিত হয়। দুর্গাচরণ পিতার অভিমতে মেডিকেল কলেজে প্রবিষ্ট হন এবং প্রত্যহ দুই ঘণ্টা করিয়া সেখানে পড়িতেন। হেয়ারের বিদ্যালয়ে জোন্স নামক এক ব্যক্তি \డిet