পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালি এক্ষণে এখানে অনেক ধনী লোক হওয়ায় তাহারা উত্তরপাড়াকে একটি স্বতন্ত্র গ্রাম বলিয়া উল্লেখ করেন ।” ক্রমে সকলে ডাকঘরের নিকট দিয়া স্কুলের নিকট উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “উত্তরপাড়ার স্কুল দেখুন। পল্লীগ্রামে যত স্কুল অাছে তন্মধ্যে এই স্কুলটী সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । ইহা হইতে বৎসর বৎসর অনেক ছাত্র প্রবেশিক্ষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া থাকে। উত্তরপাড়ার ধনাঢ্য ও বিখ্যাত জমিদার বাবু জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের যত্বে ও সাহায্যে এই স্কুলটা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। তিনি এই বিদ্যালয়ের ব্যয়নিৰ্ব্বাহীর্থ একখানি তালুক দান করিয়াছেন । ঐ তালুকের আয় হইতে ইহার খরচ উত্তমরূপে চলিতে পারে। স্কুলবাড়ীটি দোতালা এবং চতুস্পার্থে কম্পাউণ্ড । স্কুলের মধ্যে একটি পুস্তকালয় আছে । পুস্তকালয়ে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পুস্তকাদি প্রাপ্ত হওয়া যায়।” ব্ৰহ্মা । দেখ বরুণ ! কলিতে অন্নদান ও বিদ্যাদান অপেক্ষ পুণ্য নাই । জয়কৃষ্ণ বাবু এই সৎকাৰ্য্য হেতু অক্ষয় পুণ্য সঞ্চয় কবিয়াছেন। এখান হইতে সকলে একটা দোতালা বাড়ীর নিকট যাইয়া উপস্থিত হইলে দেবরাজ জিজ্ঞাসা করিলেন “বরুণ ! এ বাড়ীটি কি ?” বরুণ। দাতব্য চিকিৎসালয় । এই চিকিৎসালয়টতেও জয়কৃষ্ণ বাবু যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছেন। এখানে প্রতিদিন প্রাতঃকালে বিনা মূল্যে ঔষধ বিতরণ করা হইয়া থাকে। তদ্ভিন্ন অনেক রোগীকে চিকিৎসালয়ে রাখিয়া বিনা ব্যয়ে ঔষধ ও পথ্যাদি দিয়া অভ্যারোগ্য করা হয় । দেখিতে দেখিতে সকলে উত্তরপাড়া সাধারণ পুস্তকালয়ে যাইয়া উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “এই বাড়িতে সাধারণ পুস্তকালয় আছে। বাড়িটি কলিকাতার টাউনহলের ফ্যাসানে নিৰ্ম্মিত । পুস্তকালয়ে ইংরাজী, বাঙ্গালা ও সংস্কৃত পুস্তক এত আছে যে দেখিলে চমৎকৃত হইতে হয়। তদ্ভিন্ন যাবতীয় সাময়িক পত্রাদিও গ্রহণ করা হইয়া থাকে । পুস্তকালয়টর খরচের জন্য জয়কৃষ্ণ বাবু একখানি তালুক দান করিয়াছেন। তাহার দ্বিতীয় পুত্ৰ সৰ্ব্বদা ইহার তত্ত্বাবধান লওয়াতে দিন দিন উন্নতিও হইতেছে। পুস্তকালয়ের উপরের গৃহগুলি অতি সুন্দরব্রুপে সাজান। কোন ইংরাজ কিংবা সম্রাস্ত বাঙ্গালী বাসের জন্য প্রার্থনা করিলে বিনা ভাড়ায় দুই এক মাস থাকিতে পান ।” এখান হইতে সকলে বঙ্গবিদ্যালয় দেখিয়া ভাগীরথীতীরে একটা বাধা ঘাটের নিকট যাইয়া উপস্থিত হইলেন এবং তীরে কতকগুলি সুন্দর সুন্দর ঘাট দেখিয়া ge'9