পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মৰ্ত্তে আগমন দেবতারা আনন্দামুভব করিতে লাগিলেন । বরুণ কহিলেন “এই ঘাটটি জয়কৃষ্ণ বাবুর এবং ওদিকের ঐ ঘাটটি হরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ।” দেবতারা হরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ঘাটের নিকট যাইয়া দেখেন—একটা সুন্দর গৃহে রাম ও সীতার প্রতিমূৰ্ত্তি বিরাজ করিতেছে। ঘাটের দুই পার্শ্বে ছুটি শিবলিঙ্গ স্থাপিত রহিয়াছে। নারা । বরুণ ! এই স্থানে স্নান করিলে হয় না ? “হানি কি ?” বলিয়া সকলে ঘাটে তলপী তালপা নামাইলেন। উপ ছুটিয়া গিয়া তৈল খরিদ করিয়া আনিল । দেবরাজ তৈল মাখিতে মাখিতে কহিলেন “বকুণ ! ঘাটের উপর ঐ প্রকাণ্ড ঘরটা কি ?” বরুণ। উহা গুদামঘর । জনাই প্রভৃতি স্থানের মহাজনদের যে সমস্ত মালামাল আমদানী হয়, তাহ বালি ষ্টেশন হইতে আনিয়া এই গুদামে জমা করে, তৎপরে এখান হইতে অবসরক্রমে লইয়া যায়। পূৰ্ব্বে ষ্টেশনে মাল রাখিবার অস্ববিধা থাকায় মহাজনদিগের বিস্তর ক্ষতি হইত। জয়কৃষ্ণবাবু এই গুদামঘরট করিয়া দিয়া বস্তা প্রতি কিছু কিছু করম্বরূপ গ্রহণ করেন । ইহাতে মহাজন দিগেরও যথেষ্ট সুবিধা হইয়াছে এবং তাহারও লাভ হইতেছে । স্বানান্তে দেবগণ বাজারে যাইয়া জলযোগ করিতে লাগিলেন । বরুণ কহিলেন, “এই বাজারের দোকান ঘরগুলি জয়কৃষ্ণ বাবু পাকা করিয়া দিয়াছেন ।” পিতামহ সন্দেশ গালে দিয়া কহিলেন, “জয়কৃষ্ণ বাবুর এত কীৰ্ত্তি দেখিতেছি, ইনি-এমন বিপুল ঐশ্বর্ষোর কিরূপে অধিকারী হইলেন ?” বরুণ। ইহার পিতার নাম জগন্মোহন মুখোপাধ্যায়। ই হারা পিতা পুত্রে সৈনিক বিভাগে কৰ্ম্ম করিতেন । ভরতপুর আক্রমণের সময়ে কিছু টাকা পান। দেশে আসিয়া ঐ টাকায় বিষয় খরিদ করিতে থাকেন। তৎপরে পিতা ও পুত্রের যত্নে ঐ টাকায় এক্ষণে প্রায় পাঁচ ছয় লক্ষ টাকা আয়ের বিষয় হইয়াছে।” - দেবগণ জলযোগ করিয়া পুনরায় নগর ভ্রমণে চলিলেন। যাইতে যাইতে একস্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন,—একটী বাড়ী হইতে কতকগুলি ভিখারিণী ছুটিয়া পলাইয়া আসিতেছে এবং কহিতেছে না হয় এক মূঠ ভিক্ষণ না দেবে, মিন্সে কি ব’লে কুকুর লেলিয়ে দিলে ?” দেবগণ বেড়াইতে বেড়াইতে জয়কৃষ্ণ বাবুর বাটার নিকট যাইলেন।