দেবগণের মর্ত্যে আগমন তরঙ্গমালা তৎপ্রবণে “ধড়াস” “ধড়াস" শব্দে সকলের পদ প্রক্ষালন করিতে যাইয়া পাছক দৃষ্টি প্রত্যাগমন করিল এবং তৎপরে করোলিনী কল কল শৰে ক্টাদিতে কঁদিতে যাইয়া পিতামহের চরণে প্রণাম করিলেন ! ব্ৰহ্মা। এস মা অামার, এস আমার মা ! হঁ্য মা ! তোর কি দয়া নেই ? আমি সমস্ত পথ কঁদিতে কঁাদিতে এলাম। আজ তোমার শরীর এমন মলিন, কেশ সকল ছিন্ন বিচ্ছিন্ন এবং শরীরে গাত্রাভরণ নাই কেন ? ' গঙ্গ। পিতঃ । আপনি আমাকে দেখিবার জন্য সমস্ত পথ দিতে কঁদিতে এসেছেন সত্য ; কিন্তু চেয়ে দেখুন—আমাকে কি প্রকার বেঁধেছে । এ বন্ধন ছিন্ন করিয়া কি আমার এক পা চলিবার সামর্থ আছে ? পিতামহ তৎশ্রবণে পোলের প্রতি চাহিলেন । বন্ধন দেখিয়া তাহার মনে আতঙ্কের উদয় হইল, বুক দুপ দুপ করিতে লাগিল। তিনি বিনা বাক্যবায়ে সেই দিকে চাহিয়া রহিলেন । বরুণ। যখন প্রথমে এর পোল প্রস্তুত হয়, আমরা ভাঙ্গিবার জন্য বিধিমত চেষ্টা পাইয়াছিলাম এবং সাইক্লোন-( মহাঝড় )-কেও পাঠান হইয়াছিল ; কিন্তু সে অল্প সময় মাত্র যুদ্ধ করিয়া বঙ্গদেশ পাছে ধ্বংস হয়, এই আশঙ্কায় অধিক বল প্রয়োগ করিতে পারে নাই । এই পোলের দ্বারা হাবড়া ও কলিকাতা যোগ করা হইয়াছে । এ প্রকার নদীর উপর ভাসা পোল আর দ্বিতীয় নাই। ইহা নিৰ্ম্মাণ করিতে ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয় হয় । পোলটি ১৫৩ • ফিট লম্বা ও ৪৮ ফিট চৌড়া। ১৮৭৪ সালের অক্টোবর মাসে এই পোল খোলা হয় । 烹 গঙ্গা । বাবা ! তুমি বিধাতা । তোমার কাজ সকলের ভাগ্যে মুখ দুঃখ লেখা ; কিন্তু তোমার শ্ৰীপাদপদ্মে আমি এত কি অপরাধ করেছি যে, আমার ভাগ্যে এত কষ্ট লিখেছ ? দেবকুলে, অস্থরকুলে, নরকুলে, এ হতভাগিনী—এ চিরতুঃখিনীর মত দুঃখ ভোগ করতে কে আছে ? অামার এমনি কপাল যে, রাজা লোকের দুঃখ দূর করেন, তিনি স্বয়ং উদ্যোগী হষ্টয়া এ অবলার প্রতি অযথা অত্যাচার করিতেছেন । তিনি আমাকে যেখানে সেখানে বাধিতেছেন, বাদীর মত জাহাজ ও ষ্টীমার বহয়ে বহীয়ে কোমর ভেঙ্গে দিতেছেন ; এত ক’রেও র্তাহার সাধ মেটে নাই—আবার এক সপত্নী জুটীয়ে टिग्रएछ्न । ব্ৰহ্মা । সে কি মা ! তোমার আবার সপত্নী ! 8》翻
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।