পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালি ব্ৰহ্মা । গঙ্গে ! মা । আমি তোমাকে সত্বরেই স্বৰ্গে লইয়া যাইব । তোমার দুঃখ দূর হইবার আর বেশী বিলম্ব নাই। আমি তোমাকে কি বলে বিদায় দিয়াছিলাম, তা কি তোমার স্মরণ নাই ? বলেছিলাম, “ভাগীরথি । যখন বন নগর ও নগর বন হইবে, যখন তুমি স্থানে স্থানে স্রোতস্বতী ও স্থানে স্থানে শুষ্ক নদীর আকার ধারণ করিবে, যখন লোকের শ্রদ্ধা ও ভক্তি তোমার উপর থাকবে না, সেই সময়ে তুমি স্বর্গে চলিয়া আসিবে।" যেগুলি বলিলাম, তাহাদের মধ্যে প্রায় সকলগুলিই ঘটেছে, তবে আর দুঃখ কেন ? আর দশ পনর বৎসর ধৈর্য্য ধ'রে থাক, আমি তোমাকে শুভদিনে শুভক্ষণে স্বৰ্গে লইয়া যাইব । গঙ্গা। বাবা ভুলো না । তা হ’লে আমি আত্মহত্যা করবো। মা কেমন আছেন ? ব্ৰহ্মা । ভাল আছেন । গঙ্গা । এখন যাবে কোথায় ? ব্ৰহ্মা । কলিকাতায় গিয়ে বাসা করিগে ও কুলাঙ্গারদিগের আচার ব্যবহার দেখিগে । গঙ্গা । এত কুলাঙ্গর আর কোথাও নাই ! খুব সাবধানে থেকে ও মধ্যে মধ্যে আমাকে দেখে যেও | “তবে আমরা এক্ষণে যাই” বলিয়া পিতামহ সজল নেত্রে গঙ্গর প্রতি চাহিতে চাহিতে দেবগণের সহিত পোলের উপর উঠিয়া সবিস্ময়ে চতুৰ্দ্দিকৃ দেখিতে লাগিলেন। মনে মনে কহিলেন, “উঃ ! কি অদ্ভূত ক্ষমতা, পোল ব'লে চিনিবার যো নাই।” ইন্দ্র। বরুণ। এ ক’রেছে কি ? য়্যা। ইংরাজের ক্ষমতাকে বলিহারি ! আচ্ছা—পোলটা ত কাষ্ঠনির্মিত, ভাদূরে টানে কাঠ কয়খানা ভাসায়ে নিয়ে যাওয়া যায় না ? বরুণ। সাধ্য কি ! এই সেতু এমনি কৌশলে নিৰ্মাণ করেছে, যতই কেন জল বৃদ্ধি হউক না, উপরে ভাসিতে থাকিবে। উপ। কর্তা জেঠা ! চেয়ে দেখ, ওপারে কত জাহাজ জলে ভাসছে। এক এক খানার মাস্তুল আকাশে ঠেকেছে। সেই মাস্কলের উপর উঠে ইংরাজ নাবিকেরা রসারসি বাধছে। মিন্সেগুলোকে এখান হতে যেন এক একটি বানরের বাচ্ছার মত দেখাচ্চে। আচ্ছা কৰ্ত্তা জেঠা ! ওরা যদি দৈবাৎ প'ড়ে মরে—হাড় পাজরাগুলোকে কি আন্ত পাওয়া যায় ?