পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ক্রমে সকলে পরপারে যাইয়া উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “পিতামহ । আস্থন আমরা গঙ্গাস্নান করিয়া লই । এ সহরে বড় চোরের ভয়, দ্রব্যাদি সাবধান করিয়া তবে স্নান করিতে হইবে।” - ইন্দ্র । বরুণ ! বল কি ! এ সহরে চোরের ভয় ? যে রাজা সমগ্র রাজ্য সুশাসনে রেখেছেন, যাহার শাসনগুণে গ্রাম, নগর ও বন প্রভৃতি দস্থ্যশূন্ত হইয়াছে, তাহার রাজধানীতে চোরের ভয় ? এ যে বড় আশ্চৰ্য্য কথা ! - বরুণ। কথায় বলে—“চুরি, জুচ্ছরি, মিথ্যা কথা,—এই তিন নিয়ে কলিকাতা ।” ব্ৰহ্মা । বরুণ ! মা আমার চঞ্চল ; পাছে কলিকাতা মহানগরী উদরসাৎ করেন, এই আশঙ্কায় ইংরাজের মাকে বেঁধেছে দেখ । বরুণ । আঞ্জে, পোর্ট কমিশনরেরা জাহাজ হইতে মাল নামাইবার ও উঠাইবার স্বরিধার জন্য এইরূপ বাধাইয়া লইয়াছে। ঐ পোর্ট, কমিশনরের ভাগীরথীতীরে এক হইতে সাত নম্বর পর্য্যস্ত জেঠী আছে । জেঠীতে বিস্তর ইংরাজ ও বাঙ্গলী চাকর খাটিতেছে। দেবগণ মীরবহরের ঘাটে যাইয়া দেখেন—অসংখ্য উড়ে ব্রাহ্মণ আয়না, চিরুণী, পুষ্পপাত্র, গঙ্গাজল ও চন্দন লইয়া বসিয়া আছে। তাহারা দেবগণকে ভাকিয়া সাদরে বসিতে দিয়া এক শিশি তৈল দিল ও বলিল, “বাবা ! গঙ্গামায়াতে আস্নান কর।” বরুণ দ্রব্যাদি আগলাইতে লাগিলেন এবং দেবগণ জলে নামিয়া স্বান করিতে লাগিলেন । তাহারা স্নান করিতে করিতে দেখিলেন—একখানি আফিসের কেরাণী বোঝাই নৌকা আসিয়া ঘাটের পাশে লাগিল । কেরাণীর দল আফিসের সাজ পোষাক করিয়া যেমন পাদুকা পরিতেছেন, অমনি এক চাচা পাউরুটি ও বিস্কুটের চাঙ্গরি মাথায় করিয়া ছুটিয়া আসিল। বাবুর দল স্ব স্ব অবস্থামত দুই এক পয়সার কিনিয়া গোগ্রাসে গিলিতে বসিলেন, এবং কতক কতক পকেটে রাখিলেন । নারা । বরুণ । উহার কারা ? বরুণ। উহারা অফিসের কেরাণী। কলিকাতার সন্নিকটস্থ গ্রাম সকলে 8〉般