পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাভ নারায়ণ অাকের টিকলি মুখে দিয়া কহিলেন, “বরুণ । এ সহরের নাম কলিকাতা হইল কেন ?” উপ । ঠাকুর-কাকা ! আমি জানি, ব’লবো ? ঠাকুরমার কাছে গল্প শুনেছি—কলিকাতায় প্রথমে অত্যন্ত জঙ্গল ছিল । সাহেবরা সেই জঙ্গল কেটে এই নগর নির্মাণ করেন । সেই বনকাটা কুলির কাজের তদারকের জন্য নিযুক্ত সাহেব জঙ্গলের মধ্যে একটা কাটা গাছের উপর পা রাখিয়া কুলিদিগকে ইংরাজিতে জিজ্ঞাসা করেন—এ স্থানের নাম কি ? কুলিরা তাহার কথা বুঝিতে না পারিয়া কি উত্তর দিবে স্থির করিতে পারিল না । হয় ত “এ গাছটা কবে কাটা হইয়াছে, তাই সাহেব জিজ্ঞাসা করিতেছেন” এইরূপ ভাবিয়া একজন কুলি কহিল, “কাল কাটা ।” সেই কালকাটা হইতে বর্তমান নাম কলিকাতা হইয়াছে । ইন্দ্র । সত্যি বরুণ ? বরুণ । কলিকাতা বহুকালের প্রাচীন স্থান । আইনি আকবরি নামক মুসলমানগ্রন্থে এই স্থানের উল্লেখ আছে। পূৰ্ব্বকালের লোকেরা ইহাকে কালীক্ষেত্র কহিত । কালীক্ষেত্র হইতে কলিকাতা নাম হইয়াছে। এই স্থানে সতীর মৃতদেহের কোন অংশ পতিত হইয়াছিল । ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর হুগলীর কুঠীর এজেন্ট জব চার্ণক সাহেব ১৬৯০ অব্দের ২৪এ আগষ্ট বর্তমান নগর নিম্মর্পণ করেন । জলযোগ শেষ হইলে সকলে স্ব স্ব পোটলা পুটলি হস্তে লইয়া বড়-বাজারের অভিমূখে চলিলেন । বরুণ পিতামহের হস্ত ধরিয়া অতি সাবধানে লইয়া চলিলেন এবং দেবগণকে কহিলেন “তোমরা আমার পশ্চাৎ পশ্চাৎ, আইস । নচেৎ যদি হারাইয়া যাও, খুজিয়া পাওয়া ভার হইবে।” সকলে বরুণের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চতুর্দিকে চাহিতে চাহিতে চলিলেন । র্তাহারা ষে দিকে চাহেন, দেখেন অট্টালিকা শ্রেণী ও তন্নিয়ে বিপণি শ্রেণী শোভা পাইতেছে । রাস্ত দিয়া ইংরাজ, বাঙ্গালী, য়িহুদী, মুসলমান ; কাফ্রী, মগ, চীনে, কাবুলী প্রভৃতি নানা দেশের লোক চলিতেছে। রাস্তার মধ্য দিয়া চেরেট, টমটম ও বগী গাড়ী প্রভৃতি ছুটিয়া যাইতেছে এবং রাস্তার পাশ্ব দিয়া কঁ" কোচ শব্দে গোরুর গাড়ী শ্রেণীবদ্ধ হইয়া চলিয়াছে। পথ দিয়া অনবরত লোক চলিতেছে । *

  • দেবতারা যদি এক্ষণেকলিকাতা আসিতেন,তাহা হইলে ইলেকটিক ট্রাম, মোটরকার গাড়ী প্রভৃতি দেখিয়া আরও আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইতেন —সম্পাদক ।

SS A