পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন ব্ৰহ্মা । বরুণ ! এমন সহর ত কখন চক্ষে দেখি নাই । নারা । এখানকার সকল লোককেই যেন ব্যগ্রতার সহিত রাস্তায় চলিতে দেখিতেছি ইহার কারণ কি ? বরুণ । প্রত্যেক ব্যক্তিই পয়সার অনুসন্ধানে চলিয়াছে । এই কলিকাতা সহরে লক্ষ্মী নানারূপে বিরাজ করিতেছেন । যে স্বচতুর, সে পথে ঘাটে যেখানে সেখানে ধন উপার্জন করিতে পারে । আর যে আমাদের উপর মত, তাহার ভাগ্যে এখানে অন্ন মিলে না । ক্রমে সকলে গল্প করিতে করিতে বড়বাজারে যাইয়া উপস্থিত হইলেন এবং চারি দিকে চাহিতে লাগিলেন । যে দিকে চাহেন, দেখেন বড় বড় দোকান, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গলি, বৃহদাকার অট্রালিকা সকল বিরাজ করিতেছে। খরিদ্ধারের ভিড়, গাড়ী ঘোড়ার ভিড়, মাল আমদানী ও রপ্তানীর ভিড় । বরুণ বড়বাজারের মধ্যে একটা দোতালা বাসা স্থির করিয়া দেবগণের সহিত উপরে উঠিলেন এবং কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করিয়া উপকে সঙ্গে লইয়া বাজার করিতে চলিলেন । দেবগণ বাবান্দায় দাড়াইয়া যতদূর দৃষ্টি চলে দেখিতে লাগিলেন । কিয়ৎকাল পরে বরুণ ও উপ একজন মুটের সহিত প্রত্যাগমন করিলেন । দেবগণ মুটের মাথা হইতে দ্রব্যাদি নামাইয়া লইয়া অগ্ৰেই ঘসী দেখে হাস্ত করিতে লাগিলেন । এবং ফু দিয়া উড়াইবার জন্য নারায়ণ বিধিমত প্রকারে চেষ্টা করিলেন । বাসায় একটি জলের পাইপ ছিল । বরুণ কহিলেন, “তোমরা সকলে ঐ কলের জলে মুখ হাত ধুয়ে লও । জলের কলের নাম শুনিয়া দেবগণ সেই দিকে ছুটিয়া যাইলেন, কিন্তু জল বাহির কবিতে না পারিয়া ফাপরে পড়িলেন। শেষে বরুণ হাসতে হাসতে যাইয়া দেখাইয়া দিলে দেবগণের আনন্দ দেখে কে । ইনি একবার জল বাহির করেন, উনি একবার জল বাহির করেন, এই প্রকারে অনবরত জল নষ্ট করিতে লাগিলেন । বৃদ্ধ পিতামহ কহিলেন, “বরুণ ! এ ক’রেচে কি ? য়্যা । কোথা দিয়া ষে কেমন ক’রে জল আসছে, কিছু ঠিক পাইবার যো নাই। ধন্য ইংরাঞ্জের বুদ্ধিবল !” বরুণ স্বয়ং আহারীয় দ্রব্যাদি প্রস্তুত করিতে লাগিলেন এবং আর সকলে যোগাড় দিতে লাগিলেন । উপ কখন কখন ই করিয়া পাইপের নিকটে মুখ দিয়া জল পান করিতেছে ; কখন হাত দিয়া পাইপের মুখ চাপিয়া ধরিতেছে । 8〉とア