পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা আহারীয় দ্রব্যাদি প্রস্তুত হইলে সকলে আহার করিলেন এবং অপরাহ্লে সহর ভ্রমণে বাহির হইলেন । বরুণ কহিলেন, “সকলে খুব সাবধানে চল, বড়বাজারের ভিড়ে না হারাইয়া যাও ।” দেবতারা সাবধানে চলিলেন। এক স্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন—কয়েক জন মাতাল মদ্যপানে মাতোয়ার হইয়া "যুদ্ধং দেহি” “যুদ্ধং দেহি” শব্দে চীৎকার করিতেছে। দূরে দাড়াইয়া একজন গুলিখেরি শঙ্কিতভাবে এক দৃষ্টে চাহিতেছে এবং অপর পথিকদিগকে সেই পথে যাইতে নিষেধ করিয়া দিতেছে । সে কহিতেছে, “নচ্ছার বেটারা মদ খেয়ে মরে কেন ? এর চেয়ে যদি গুলি ধরে, পথের মাঝে এমন লোক হাসাহাসি করতে হয় না।" ব্ৰহ্মা ; বরুণ ! রাস্তায় গোল করিতেছে এরা কারা ? অার পথিকদিগকে সাবধান করিয়া দিতেছে, ঐ ভদ্র লোকটাই বা কে ? বরুণ । গোল করিতেছে ইহারা মাতাল । আর সাবধান করিয়া দিতেছে গুলিখেরি । গুলিখোরের মাতালদিগকে বড় ভয় করে । ইন্দ্র । রাস্তায় মাতালেরা গোল করিতেছে, রাজা যে কিছু বলেন না ? বরুণ। পাহারাওয়ালারা দেখতে পেলে ধ’রে নিয়ে যাবে ; এখান থেকে চ'লে এস । এখান হইতে সকলে গঙ্গর ধারের রাস্তা দিয়া চলিলেন এবং একস্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন—একটী বাড়ীতে বিস্তর গোর রহিয়াছে ; তাহাদিগকে পাহারাওয়ালার মধ্যে মধ্যে চৌকি দিতেছে। নারা । বরুণ! ঐ স্থানটা কি ? দেখলে বোধ হয় যেন নরক । বরুণ। উহার নাম সেলাহোম অর্থাৎ জাহাজের নাবিকদিগের থাকিবার ঘর। বিলাত হইতে কোন জাহাজ এখানে আসিয়া পৌঁছিলে উহার নাবিকগণ এই স্থানে আসিয়া অবস্থিতি করে । এবং মাতাল হইলে পাছে তাহারা বাটীর বাহিরে অসিয়া পথিকদিগের প্লীহা ফাটায়, এই আশঙ্কায় পাহারা দিতে হয়। পূৰ্ব্বে সেলারহোম বহুবাজারে ছিল । নাবিকের উপার্জিত অর্থ মদ্য প্রভৃতিতে ব্যয় করিয়া ফেলে দেখিয়া তাহাদিগকে এই স্থানে রাখা হয় এবং কম খরচে অহারাদি দেওয়া হয় । ইন্দ্র। বরুণ । ওদিকে পাঁচ সাতটা গোরাকে কতকগুলি পাহারাওয়ালা ধ’রে নিয়ে যাচ্চে কেন ? 8% s