পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা বরুণ এ কথায় সম্মত হইলেন এবং দেবগণকে ভিতরে লইয়া যাইলেন। তাহারা দেখিয়া অবাক্ ! দেখেন-বারিকের মধ্যে স্তরে স্তরে টাকার তোড়া সাজান রহিয়াছে। সঙ্গিন চড়ান সিপাহিগণ পাহারা দিতেছে। উপ টাকার তোড়া দেখিয়া মনে মনে ভাবিতে লাগিল—উহার মধ্য হইতে দুই চারি তোড়া যদি দেয়, তাহা হইলে আর চাকরী করিনে—ব্যবসা ক’রে খাটাই । দেবগণ দেখেন, ব্যাঙ্কে লোক জনের ভয়ানক জনতা । কেহ নোট ভাঙ্গাইতেছে, কেহ নোট লইতেছে, কেহ কোম্পানীর কাগজ বিক্রয় করিতেছে, কেহ সেই কাগজ কিনিতেছে । কাহারও হাতে এক তাড়া নোট, কাহারও হাতে কতকগুলো কোম্পানীর কাগজ এবং কাহারও হাতে কতকগুলি করিয়া চেক রহিয়াছে। কোন ঘরে পাল্লা করিয়া টাকা ওজন করিয়া দিতেছে । কোন ঘরে বসিয়া কতকগুলি কেরাণী লেখা পড়া করিতেছে এবং কোন কোন ঘরে ঝন ঝন শব্দে টাকা ঢালিতেছে। দেবরাজ নোটবুকে কাগজের আকার ও দীর্ঘ প্রস্থ লিখিয়া লইলেন । উপ। বকুণ-কাকা । এখান থেকে পলাই চল ; টাকার শব্দে কালে তালা লাগিবার সম্ভাবনা হয়েচে । বরুণ। পরের টাকা কিনা । ভাল উপ, ঐরূপ শব্দ ক’রে যদি তোরে কেউ টাকা দেয় ? উপ। আহা ! তাহ হ’লে কানে যেন সুধাবৃষ্টি হয় । আবার সকলে রাস্তার ধারে ধারে চলিলেন। এক স্থানে উপস্থিত হইয়া পিতামহ কহিলেন, “উঃ ! বাবা ! দক্ষিণ দিকে একটা গলি গিয়াছে দেখ ” দেবগণ চাহিয়া দেখেন—গলির মধ্যে একটা ত্রিতল বাড়ীর পশ্চাদ্ভাগে নরদামার ধারে একটী লোক বসিয়া আছে। শীতপ্রযুক্ত তাহার গাত্রে একখানা মোট বস্ত্র, মস্তকে পাতলা চাদরের পাগড়ী বাধা । দেবগণ ঐ ব্যক্তি প্রস্রাব করিতেছে ভাবিয়া দাড়াইয়া দাড়াইয়া দেখিলেন ; কিন্তু সে আর উঠে না। তখন নারায়ণ দ্রুতপদে সেই দিকে যাইলে লোকটা উঠিয়া এক দিকে পলাইল । নারায়ণ আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইয়া চতুর্দিকে চাহিতে চাহিতে দেখেন—সেই ত্রিতল বাড়ীর উপর হইতে পৈতার স্বতায় বাধা একটা শালপাতার ঠোঙা নামিতেছে। নারায়ণ তস্কৃষ্টে সেই লোকটার ন্যায় নরদমার নিকট বসিয়া ঠোঙ্গার প্রতি চাহিতে লাগিলেন। ক্রমে ক্রমে ঠোঙ্গাট নিকটে জাসিয়া উপস্থিত হইলে তিনি স্থত হইতে পট, করিয়া ছিড়িয়া লইয়া দেবগণের নিকট আসিলেন । 8a>