পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা আপীল করিলে সূক্ষ্ম বিচার হয়। পূৰ্ব্বে হাইকোর্টের বিচারকার্য্যের যেরূপ স্বখ্যাতি ছিল, এখন আর সেরূপ নাই। এখন অনেকে কীল খাইয়া কীল চুরী করে এবং মকদ্দমা করিয়া হাইকোর্ট পৰ্য্যস্ত আসিতে সৰ্ব্বস্বাস্ত হয়। এই বাড়ী ১৮৭২ সালের মে মাসে নির্শিত হয়, ওয়ালটার গ্রানভিল সাহেব ইহার ডিজাইন করেন । পূৰ্ব্বে সুপ্রিম কোর্ট ও সদর দেওয়ানী আদালত নামে যে দুইটা বিচারালয় ছিল, উহারা এক্ষণে হাইকোর্টের সহিত মিশিয়া গিয়াছে। উপ। বরুণ কাকা । বিচারালয়গুলোরও তবে দাদার দাদা, বাবার বাবা অাছে । দেবগণ বাড়ীটি বেশ করিয়া দেখিলেন । শেষে দেবরাজ কহিলেন, বরুণ ! আমি স্বর্গে গিয়া একটা হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠা করিবার মানস করিয়াছি, অতএব চল, ভিতরে গিয়া দেখিয়া আসি ।” বরুণ এই কথায় সম্মত হইয়া সকলকে লইয়া ভিতরে প্রবেশ করিলেন । প্রবেশ করিয়া দেখেন জনতার পরিসীমা নাই ; সিড়ি ভাঙ্গিয়া পালে পালে ইংরাজ, বাঙ্গালী, উকীল, মোক্তার, চাপরাশী, উঠিতেছে ও নামিতেছে । র্তাহারা উপরে উঠিয়া দেখেন, অত্যন্ত জনতা । সেই জনতার মধ্য হইতে বাছিয়া বাছিয়া বরুণ দেবগণকে বুঝাইয়া দিতে লাগিলেন, “ঐ যে গাত্রে চাপকন, মাথায় শালের পাগড়ী, উহদের নাম উকীল । ঐ যে গাত্রে চাপকন, মাথায় শাদা চাদরের ফেটি, উহাদের নাম মোক্তার ! ঐ যে বাঙ্গালীরা সাহেবী পোষাকে গাউন পরিয়া যাইতেছেন, উহারা বাঙ্গালী-ব্যারিষ্টার ।” দেবগণ দেখেন—কোন ঘরে কৃপাকার কাগজপত্র রহিয়াছে, বাঙ্গালীরা বসিয়া লিখিতেছে । কোন ঘরে দুইজন সাহেব বিচারাসনে বসিয়া বিচার করিতেছেন। বিচারালয়ে লোকের ভিড় ঠেলিয়া প্রবেশ করে, কাহার সাধ ! মধ্যে মধ্যে দর্শকগণ গোল করিতেছে, সার্জনেরা ঘুসাঘাস দিয়া গোল থামাইতেছে। এখান হইতে র্তাহারা এক ঘরে গিয়া দেখেন–বিচারাসনে বসিয়া একজন ইংরাজ ও একজন-বাঙ্গালী বিচার কবিতেছেন । পিতামহ কহিলেন, “বরুণ, ঐ বাঙ্গালীটীর নাম কি ? আর সম্মুখে দাড়াইয়া ইংরাজীতে বক্তৃতা করিতেছেন—উনিই বা কে ?” বরুণ ঐ বিচারকের নাম বাৰু রমেশচন্দ্র মিত্র। আর যিনি ইংরাজীতে বকৃত করিতেছেন, উহার নাম বাবু হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। হেমবাৰু বাঙ্গালার মধ্যে একজন স্বকবি । 83 8