পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা টাকা বেতনে ট্রেনিং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ইহার তিন বৎসরকাল পরে বি, এল, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া হীরামপুরের প্রতিনিধি মুন্সেফ হন। ১৮৬৫ অব্দে ইনি হাইকোর্টে ওকালতী করিতে আরম্ভ করেন । বাল্যকাল হইতে ই হার কবিতাপাঠে বিলক্ষণ অনুরাগ ছিল। ইনি “প্রভাকর” নামক পত্রে মধ্যে মধ্যে কবিতা লিখিতেন । পাঠ্যাবস্থায় ইনি “চিন্তাতরঙ্গিণী” নামক একখানি ক্ষুদ্র কবিতাপুস্তক প্রণয়ন করিয়াছিলেন । তৎপরে “কবিতাবলি” নামক একখানি পুস্তক মূদ্রিত করেন। বৃত্রসংহার কাব্য প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ ইনি প্রচার করিয়াছেন। ইহার রচিত কাব্যগুলি উৎকৃষ্ট * দেবগণ অপর এক গৃহের দ্বারে যাইয়া দেখেন—আর দুটা জজ বসিয়া বিচার করিতেছেন এবং ঐ গৃহে একটা মুকুট রহিয়াছে। বরুণ কহিলেন “এই ঘরে বসিয়া চিফজষ্টিস্ অর্থাৎ প্রধান জজ বিচার করিয়া থাকেন। ঐ যে একটি মুকুট দেখিতেছেন, উহা ভারতেশ্বরী মহারাণী ভিক্টোরিয়ার । তিনি অনুপস্থিত থাকাতে তদীয় মুকুট প্রতিনিধিরূপে বিরাজ করিতেছে। এখান হইতে সকলে আর একটা গৃহদ্বারে গিয়া দেখেন—আর ফুট জজ বিচার করিতেছেন। এ গৃহেও লোক পরিপূর্ণ। এখানেও সার্জনেরা ধাক্কা মারিয়া গোল থামাইতেছে । জজদিগের নিকট দাড়াইয় একটী সাহেব-বেশধারী বাঙ্গালী বক্তৃতা করিতেছেন। উপ । বাবা । এখানে যে যোড়া যোড়া বিচারপতি । বরুণ । এই হাইকোটে সব সমেত বার জন জজ ছিলেন ; তন্মধ্যে এগারজন ইংরাজ ও একজন বাঙ্গালী । এক এক ঘরে দুইজন জজ বসিয়া বিচার করেন । কোন মকদ্দমায় যন্তপি দুইজন জজের দুই রায় হয়, তাহা হইলে ফুলবেঞ্চ বসে । ফুলবেঞ্চে দুইজন জজ ও চিফজক্টস একত্র বসিয়া বিচার করেন, এখন জাবার আর একজন বাঙ্গালী ও একজন ইউরোপীয় জজ হইয়াছেন।*

  • ১৩১০ সালে ইহারও মৃত্যু হইয়াছে। শেষ দশায় দৃষ্টিশক্তি হারাইয়া ও অর্থাভাবে ইহাকে অনেক কষ্ট ভোগ করিতে হইয়াছিল।—সম্পাদক ।
  • সম্প্রতি সেক্রেটারি অফ ষ্টেটু মহোদয় হাইকোটের জজদিগের সংখ্যা বৃদ্ধি করিবার প্রস্তাবের অঙ্কুমোদন করিয়াছেন —সম্পাদক ।

8रेé