পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন যাও, আমার কপালে কি ঘটেছে ; তোমার পুত্রের অগ্র ও পশ্চাৎ শান্ত্রি পাহারা যাচ্চে * এই সময় টিফিন আরম্ভ হওয়াতে দেবগণ দেখেন—পিলপিল ক’রে লোকগুলো বাহির হইয়া যাইতেছে। মসমস্ শৰে সাহেবগুলো নামিয়া আসিয়া বগী হাকাইয়া প্রস্থান করিতেছে । দেবগণ ইহার পর লন্ড নর্থব্রুকের প্রতিমূৰ্ত্তি দেখিয়া হাইকোর্ট হইতে বাহির হইলেন। বরুণ কহিলেন, “এই হাইকোর্টে দ্বারকানাথ মিত্র নামক এক ব্যক্তি জজ হইয়াছিলেন । দ্বারকানাথের মত সুবিচারক আর জন্মিবে না ।” ব্ৰহ্মা । বরুণ । অামাকে দ্বারকানাথের মিত্রের জীবনচরিত বল । বরুণ ইনি হুগলি জেলার অন্তঃপাতী আগুনসি নামক পল্লীগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ইহার পিতার নাম হরচন্দ্র মিত্র। হরচন্দ্র মিত্র হুগলী আদালতে মোক্তারি করিতেন । ১৮৩৬ সালে দ্বারকানাথের জন্ম হয় । ইনি প্রথমে হুগলী ব্রাঞ্চ স্কুলে ও তৎপরে হুগলি কলেজে বিদ্যা শিক্ষণ করেন। পঠদ্দশায় ইহার পিতৃবিয়োগ হয়। ইহার পর প্রেসিডেন্সি কলেজে ইনি আইন শিক্ষা করেন। ১৮৫৬ সালে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া সদর কোর্টে ব্যবসায় আরম্ভ করেন। এই সময় রমাপ্রসাদ রায় ও শম্ভুনাথ পণ্ডিত ঐ স্থানে ওকালতি করিতেন। দ্বারকানাথ ভবানীপুরে বাসা করিয়া অতি সামান্ত অবস্থায় বাস করিতে লাগিলেন । ১৮৬২ অব্দে বর্তমান হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠিত হইলে রমাপ্রসাদ রায় জজ হন ; কিন্তু অল্পকাল মধ্যে র্তাহার মৃত্যু হওয়াতে শম্ভুনাথ পণ্ডিত তৎপদে অভিষিক্ত হইলেন। তখন দ্বারকানাথ প্রধান উকিল হইয়া উঠিয়াছিলেন। নূতন হাইকোট প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে ইহারও ভাগ্যলক্ষ্মী প্রসন্ন হন। পিকক্‌ সাহেব ঐ সময় হাইকোটের প্রধান জজ ছিলেন। দ্বারকানাথ দরিদ্র ব্যক্তিদিগের পক্ষ অবলম্বন করিয়া বিনা অর্থে মকদ্দমা লইয়া বক্তৃতা করিতেন । ঐ সময় তিনি এত অর্থোপার্জন করিতেন যে, তাহাকে একদা এক ব্যক্তি ১৫ শত টাকা দিয়া মফঃস্বলে যাইবার উপরোধ করাতেও তিনি যাইতে সম্মত হন নাই । তিনি তন্ন তন্ন করিয়া না দেখিয়া কোন মকদ্দমা হাতে লইতেন না। যে মকদ্দমা তাহার হাতে আসিত, তাহাতে প্রায়ই জয় হইত। তিনি এমনি জোরে বক্তৃতা করিতেন যে, ঘর যেন ফাটিয়া যাইত। বিলক্ষণ ধনশালী হইলে তবে হরিপাল নামক স্থানের কোন সম্রাস্তবংশের عيةِ في غي؟