পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন ও তাহার ভগিনীর নামানুসারে ইভেনগাভেন নাম হইয়াছে । তোমরা বাগানের মধ্যে প্রবেশ করিয়া পদে পদে ভয় পাইতেছ , কিন্তু এ বাগানে সাধারণের প্রবেশ করিবার আকুমতি আছে । সন্ধ্যাকালে সুশীতল সমীরণ সেবন জন্ত অনেকেই এখানে ভ্রমণ করিতে জাইসেন। সেই সময় এখানে শ্রবণতৃপ্তিকর স্বমধুর বাস্ত বাজিয়া থাকে এবং অনেক সাহেব বিবি আসিয়া কুঞ্জবনে লুকোচুরি খেলাও করেন। এই সময় ইডেন গণভেনে টাউন ব্যাও বাজিতে লাগিল । দেবগণ অনেকক্ষণ বসিয়া বাদ্য শুনিলেন । তৎপরে সকলে বাসায় চলিলেন । তাহারা বাগানের বাহিরে আসিয়া দেখেন–রাস্তার ধারে ধারে আলোকস্তম্ভে আলো জলিতেছে। সকলে ধীরে ধীরে আলোকস্তম্ভের তলে যাইয়া ই করিয়া চাহিতে লাগিলেন । ব্ৰন্ধা । বরুণ ! লণ্ঠনের মধ্যে বিনা তৈল শলিতায় ও আবার কি রকম আলো জলিতেছে ? বরুণ। কলে পাথুরে কয়লা হইতে বাষ্প বাহির করিয়া সেই বাম্পে ঐরুপ আলো জালিয়াছে । দেবগণ বাসায় যাইয়া উপস্থিত হইলেন এবং নানা কথায় রজনী প্রভাত হইলে বরুণ কহিলেন, “আমি সত্বর একবার কলিকাতার দক্ষিণ অঞ্চলে বারিবর্ষণ করিয়া আসি । আমার না আসা পর্য্যন্ত তোমরা বাহির হইও না । ” ইন্দ্র । শীতকালে বারিবর্ধণ কেন ? বরুণ । এক্ষণে আমার আর সময় অসময় নাই, সুবিধা পেলেই জল ঢালি । শীতকালে মফঃস্বলের খোদ কৰ্ত্তারা পল্পীগ্রাম দর্শনে বাহির হইবেন, তাহীদের অভ্যর্থনার্থ পচা বিচালির গাদায় জল ঢেলে মাছি, মশা ও অপরাপর ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র কীটের জন্ম দিব। ঐ হজুরের বর্ষার সময় পল্লীগ্রামে যাইয়া লোকের রাস্তা ঘাটের কষ্ট দেখেন না । শীতকালে মুখের সময় যাইয়া থাকেন। অতএব আমার স্বই কীটগুলো যদি চক্ষে প্রবেশ করিয়া দেখা বন্ধ করে, তাহা হইলেও প্রজার কষ্ট কতকটা অনুভব হইতে পারিবে । বরুণ প্রস্থান করিলেন । দেবতারা মুখ হাত ধৌত করিলেন এবং নগর ভ্রমণে বহির্গত হইবার জন্য সকাল সকাল আহারের উদ্যোগ করিলেন । উাহার “বরুণ এই আসে এই আসে” করিয়া অধৈৰ্য্য হইয়া আহারাস্তে বাসা হইতে বাহির হইয়া পড়িলেন । বাহিরে আসিয়া নারায়ণ কহিলেন, “এই বড় বাড়ীটি লক্ষ্য করিয়া চল আমরা সোজা দেখিতে দেখিতে যাই । গলি 8.98