পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা যুজিতে প্রবেশ করিব না, তাহা হইলে বাস্ত হারাইয়া ফেলিব।" সকলে নারায়ণের কথায় সম্মত হইয়া দেখিতে দেখিতে চলিলেন । র্তাহারা অন্তমনস্ক হইয়া যেমন একটি মোড়ের নিকটে দাড়াইয়াছেন, আমনি চশমা চক্ষে এক প্রাচীন মুসলমান তাহদের নিকট আসিয়া উপস্থিত হইল। সে পিতামহের নিকট আসিয়া কহিল, “বাবা! তুমি চক্ষে একটু একটু ঝাপা দেখ বটে ।” - ব্ৰহ্মা । কৈ না ! মুস। না বাবা ! গোপন ক’রো না। আমি ঐ রোগে বড় কষ্ট পেয়েছি ব’লেই ব’লছি। ব্ৰহ্মা । কৈ ! আমি ত ঝাপা দেখচিনে । মূল। না দেখলেই ভাল। যদি কিছু হয়, এই জন্যই ব’লচি ; দুচারিট পয়সা খরচ করলে ভাল হবার এখনও উপায় আছে। পিতামহ কিছুক্ষণ ভাবিলেন । পরে দুই চক্ষু রগড়াইলেন । চক্ষু রগড়ানতে জলিয়া উঠিল, একটু জল বাহির হইল। মনে মনে ভাবিলেন, "মর্ত্যে আসিয়া যদি চক্ষু হারাইয়া যাই, প্রাচীন বয়সে বড় কষ্ট পাইতে হইবে, অতএব দুচারিটি পয়সা ব্যয় করিয়া কিঞ্চিৎ ঔষধ লইয়া রাখি", ভাবিয়া কহিলেন, “দাও । আমাকে চারি পয়সার চক্ষের ঔষধ দাও।” মুসলমান হাসিয়া কহিল “আমি চিকিৎসক নহি, কিংবা পয়সা লইয়া ঔষধ বিক্রয় করা আমার ব্যবসা নহে ; তবে আপনার চাউনি দেখে কেমন কেমন বোধ হওয়াতেই চক্ষের পীড়া আছে সন্দেহ করিলাম। ষাকৃ—আমি যে কয়টা মসলা বলি ছ চারিট পরসা খরচ ক’রে বেণের দোকান থেকে কিনে নিয়ে সব কয়টা বেটে চক্ষে প্রলেপ দিবেন, দুইচারি দিনেই সেরে যাবে"। বলিয়া মুসলমান পকেট হইতে একটু কাগজ ও পেন্সিল বাহির কন্যা লিখিয়া দিল । গা" কোন দোকানে এ সব দ্রব্য পাওয়া যাবে ? স্থল | "গকানে ব’লবেন, সেই দোকানেই পাবেন । তবে কোন বেটী না প্রত" -রে। এই কলিকাতা সহরে, মহাশয় । প্রতারকের অসম্ভাব নাই “"" শয় সকল বেটাই জুয়াচোর। আপনারা এক কাজ করুন, সম্মুখের ঐ বেপথে “কানটা হ'তে কিনে লউন ও লোকটা ভদ্রলোক, আর গাছগাছড়া অনেক . 8\2載