পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন দেবগণ এই কথায় সম্মত হইয়া সেই দোকানে প্রবেশ করিয়া ঔষধের নাম কয়েকটি বলিলেন । বেণে কহিল “এক টাকা মূল্য দিতে হবে মহাশয় ।” ইন্দ্র। এক টাকা । যে লোক ব'লে দিলে সে যে চারি পয়সা মূল্য লাগিবে ব'ল্পে ! দোকা । তা হবে না কেন ? যে দোকানী বেটারা জুয়াচুরি করে, তাহারাই ঐ মূল্যে দিতে পারে। আমাদের ধৰ্ম্মভয় আছে, যা তা দিতে পারিনে। সত্যি, আপনাদের নিকট এক টাকা নিয়ে কিছু রাজা হব না, পরকাল ত আছে । ব্ৰহ্মা ! যাক বাবা ! বার আনা লণ্ড । “দেন-মহাশয় । বেনির বেলা আর খদের ফিরাব না” বলিয়া বণিক দেবগণকে দ্রব্যাদি প্রদান করিলে তাহারা সানন্দচিত্তে বাসায় চলিলেন । র্তাহারা সকলে পথ হারাইয়া বড়বাজারের মধ্যে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন, এমন সময় বরুণ সন্নিকটে উপস্থিত হইয়া কহিলেন, “বেশ যাহা হউক, তোমাদিগকে না খুঁজেছি, এমন জায়গা নাই ।” উপ। আমরা পথ ভুলে বাসা পাচ্ছি না। বরুণ । আমি সকলকে বারংবার নিষেধ করে গেলাম, আমি না আসিলে বাসার বাহির হইও না । ব্ৰহ্মা। ভাই । ভাগ গি এসেছিলাম, তাই চক্ষু দুট বেঁচে গেল । —একটা চক্ষুরোগের চমৎকার ঔষধ পেয়েছি । দাম খুব সস্তা, বার গণ্ডী পয়সা । বরুণ। কে বুঝি প্রতারণা করেছে! আপনার চোখে কি হয়েছে ? ব্ৰহ্মা। ঝাপসা ঝাপসা দেখি । “দেখি” বলিয়া বরুণ নারায়ণের হস্ত হইতে কাগজের মোড়ক চাহিয়া লইয়া দেখেন-ছাগলের নাদি, কষ্ঠের গুড়া এবং মাকড়সার জন্ দয়া বার গণ্ডা পয়সা ঠকাইয়া লইয়াছে। তিনি কিয়ৎক্ষণ চাপি চাহিয়া নারায়ণকে কহিলেন, “তোমরা কি সকলেই চোখে ঝ৮ "পা দেখ ? সকলেই কি পিতামহের সঙ্গে সঙ্গে চক্ষের মাথা থেয়ে ইন্দ্র । না হে না । দোকানী অতি ত লোক, সে অনেক দিবি ক’রে দিয়েছে । বরুণ । তোমাদের চক্ষু আচে গল-নাদি কি না ভাল ক’রে চেয়ে يا نيا 8