পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*

দেবগণের মর্ত্যে আগমন \ পচা ঔষধে মনের সাধে জল মিশাইয়া রোগীদিগকে খাইতে দেয়। ৰে রোগীর অখণ্ড পরমায়ু, তিনিই বেঁচে যান ; কিন্তু ঔষধের দাম দিতে সৰ্ব্বস্বাস্ত হইতে হয় । ঐ খারাপ ঔষধ বেশী পরিমাণে ব্যবহার হওয়াতেই দেশের এত শোচনীয় অবস্থা । ব্ৰহ্মা । যাহাঁদের ঐ সব ঔষধালয়, তাহারা ত মহাপাপ করেন । পুরাতন ঔষধ বিক্রয় না করিয়া গঙ্গার জলে ফেলিয়া দেওয়াই কৰ্ত্তব্য । তাহারা বিক্রয় না করিলে, পচা ঔষধ দেশ-দেশাস্তরে যাইত না, দেশেরও এমন দুরবস্থা হইত না । বরুণ। মানুষের আজও ততদূর বোধ ও নিঃস্বার্থ প্রবৃত্তি জন্মে নাই। দেবগণ দেখেন—দোকানের বাহিরে দুটো লোক ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই সময় দোকানের মধ্য হইতে এক ব্যক্তি বাহিরে আসিল । উহারা তাহার নিকট যাইয়া কহিল “আপনাকে শিশি ধোয়া জলগুলো দিতেই হবে । দেখুন ঐ জল আমরা দেশে লইয়া বিলক্ষণ দশ টাকা লাভ করিব । আপনি স্বদেশস্থ এবং এই দোকানে কৰ্ম্ম করেন বলিয়াই আসিয়াছি।” সে ব্যক্তি "আচ্ছা” বলিয়া দোকানে প্রবেশ করিলে প্রথম দুই ব্যক্তি বসিয়া গল্প আরম্ভ করিল। একজন কহিল—“আমরা ছাইতে না পারি, গোড় চিনি | রোগের ঔষধই উপবাস । তাহাতে রোগ না সারিলে ঔষধ দিই । জল ঔষধে যদি বিকার টেনে আনে, দিন থাকিতে বলি আমার অসাধ্য, ভাল ডাক্তার আন। ভাল ডাক্তারের হাতে মরে, তাহদের বদনাম হয়। আমরা মাধব কবিরাজের শালার মত জেয়াস্ত মানুষ মারিনে। ছি ! ছি ! লোকট। ধড় ফর ক’রে মরে গেল।” ২য় । সে কিরূপ ? ১ম । জান না ?—মাধব কবিরাজের শালা যাহাকে আমরা মামা বলে ডাকিতাম । ২য় । চিনেছি, ধড়ফড়য়ে মরে গেল কি ? ১ম । এ খবর রাখ না ? মামা, তার বোনাই মাধব কবিরাজের বাড়ীতে খেতেন আর ভাগিনেয়দের কোলে পিঠে করতেন। লেখাপড়া জানা দূরে থাক, হাতে-খড়ি পর্যন্ত হইয়াছিল কি না সন্দেহ। মাধব কবিরাজের মৃত্যুর পর মামা ব'ল্লেন “আমি চিকিৎসা ব্যবসা আরম্ভ করি, কারণ আমাদের যজমানের সুচিকিৎসকের অভাবে কার দ্বারস্থ হইবে ?” কিন্তু দুঃখের বিষয় 88 a