পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিয়াতঃ মামাকে কেউ ভাকে না। হঠাৎ একটা রোগীর আসন্নকাল ঘুনিয়ে এসেছিল, সে মামাকে ভাকিতে আসিল । মামা মহাসন্তুষ্ট হইয়া মাধব কবিরাজেন্ম অালমারী খুলিয়া ঔষধ বাছিতে লাগিলেন ; তাহার ঔষধ আর মনস্থ হয় না। যে ডাকিতে আসিয়াছিল, তাহাকে কহিলেন, “হারে রোগীর বয়স কত ? জোয়ান না বালক ?” সে কহিল, “জোয়ান, কাল সবে জর হয়েছে।” এই সময় মামা বড় বড় লাল ঔধ দেখিয়া কহিলেন, “হা হা, তাকে এই মৃত্যুৰয় উবধ খাওয়াতে হবে।” ২য়। ঔষধের নাম কি মৃত্যুঞ্জয় আছে ? ১ম । মামা একটা নাম রেখে দিলেন। তার পর শোন না—মামা দশ পনর গও সেই ঔষধ নিয়ে রোগী দেখতে চল্পেন। যাইবামাত্র তাহার একটা টাকা দিল, তখন রোগীটে বসে গুড়ক তামাক খাচ্ছিল। মামার এই প্রথম টাকা উপার্জন ; অতএব টাকাটা নিয়ে মহাসন্তুষ্টচিত্তে কহিলেন, “অষ্ঠই জর মারাম ক’রবো, তোমাদের কোন চিন্তা নাই। বলিয়া সেই মৃত্যুঞ্জয় বড়ী একেবারে দ্বাদশট খেতে দিলেন। রোগী ঔষধ খেয়ে শুয়ে পড়লো এবং দুই একবার হাত পা খেচে চোখ কপালে তুলে সিঙ্গ ফুকলো ! মামা খানিকক্ষণ হা করিয়া দেখে ব’ল্লেন, “একটু পরেই সেরে যাবে, তোমরা কিছু চাপা দিয়া রাখ, যেন বাতাস না লাগে” বলিয়া দে চম্পট। ২য় । তুমি জানলে কেমন ক’রে । ১ম। মামা পালিয়ে এসে আমাদের বাড়ীতে লুকুয়েছিল । সমস্ত দিন বাটীর বাহির হয় নাই। সন্ধ্যার পর আমাকে চুপে চুপে ব’ৱে, “দেখে আয় দেখি, সেটাকে বাহির ক'রে নিয়ে গেছে কি ঘরে অাছে।" আমি ব’ল্লাম ‘মামা, রোগীটে যে সকালে ওজুক তামাক খাচ্ছিল দেখে এসেছি " মাম ব'ল্লেন, “ওরে বাবা! বিকারে নেচে খেলে বেড়ায় । ওতো গুডুক তামাক খাচ্ছিল ; তোরা জানিস না, ওর চোরা বিকার হয়েছিল।” মামার মানুষ মারা দেখে আমার সাহস হ’লো, মনে মনে ভাবলাম “বা । এ ব্যবসা ত বড় মজার । আমি এই ব্যবসা করবো ।” সেই থেকে ডাক্তারি আরম্ভ করেছি। দেবগণ এই সমস্ত কথা শুনে আশ্চর্যাম্বিত হইলেন । বরুণ কহিলেন, "ইহারা পাড়াগায়ে হাতুড়ে ডাক্তার। ইহাদের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যক্তি জাতিত্তে ডোম * মারা। ভোমের জল লোক্ েখায় ? ‘88.”