পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা প্রত্যাগমন করিতে বিলঙ্গ হুইল দেখিয়া কালনেমি মনে মনে ভাবিল, পুষ্করিণীতে যেরূপ কুম্ভীরের উপজব, বোধ হয় বানরটাকে এতক্ষণ উদরসাৎ করিয়াছে ; অতএর আমি রজ্জ্ব পাকাই, নচেৎ কি দিয়া রাবণের অর্ধেক স্ট্রাজ্য মাপিয়া লইব । কালনেমি দড়ি পাকাইতেছে, এমন সময় হনুমান প্রত্যাগমন করিয়া তাহাকে সংহার করিতে উষ্ঠত হুইল । রাক্ষস প্রাণ যায় দেখিয়া রোদন করিতে করিতে কহিল, “হায়! আমার রাজ্যভোগ অষ্টে হইল না, হাতের দড়ি হাতেই রহিল। হনুমান তাহার রোদনে -জুঃখিত হইয়া কহিলেন, “কালনেমি । আমি তোমাকে সংহার করিতেছি বটে, কিন্তু লোভে পড়িয়া এ কাজ করিয়াছ জানিয়া বর দিতেছি, তোমার অদৃষ্ট রাজ্যভোগ ঘটিবে। কলিতে তুমি মূর্থ জমীদাররূপে বিরাজ করিবে, সেই সময় তোমার রাজ্যের জমী তোমার আমলার ঐ হস্তস্থিত জেজু দ্বারা মাপ করিবে I* উপ । বরুণ-কাক1, বাশ দিয়ে ত মাপে ? নারা। বরুণ। এই বোকা জমীদারটা কি ক’রে নিজের বিষয় বুঝে লয় ? আমলারা বোকা দেখিয়া ফাকা দিয়ে লয় না ? বরুণ। উনি গোমস্তাদিগকে কহেন, “আমি বকেয়া বাকী প্রভৃতি বুঝি না ; যে তালুকের যত আয়, আমাকে সেই টাকা রোজ দুই তিন কিস্তিতে দিতে হইবে।” .مهمامي দেবগণ ইহার পর চেন ঘড়ি খরিদ করিয়া টাকা দিলে দোকানের ছুই একজন লোক তাহাদিগকে জল খাইতে উপরোধ করিল। তাহারা ওজত্ব আপত্তি কবিয়া পলাইয়া আসিয়া রাস্তায় দাড়াইয়া পরস্পর মুখ চাওয়া চাওয়ি করিয়া বলিতে লাগিলেন, “সাহেবটা আমার হাত ধ’রে যেরূপ টানাটানি আরম্ভ করিল, ভাবিলাম বুঝি জাতটা মারলে ! খুব ফাকী দিয়ে পালিয়ে এসেছি।” আবার সকলে চলিলেন । নারায়ণ জিজ্ঞাসা করিলেন, “বরুণ । দেখা যাইতেছে-ও বাড়ীটি কি ?” * বরুণ । উহা টি, টমসন কোম্পানীর বাড়ী। এই স্থানে লোহা-লক্কড়ের শ্ৰব্যাদি বিক্রয় হয় । উহাদের একটী কারখানা আছে । তাহাতে নানাপ্রকার লৌহের ফ্রব্যাদি প্রস্তুত হইতেছে। এখান হইতে সকলে ধৰ্ম্মতলার বাজারের মধ্যে প্রবেশ করিলেন । ইক্স কৃছিলেন, বরুণ । এ রাজারটা কাহার ? - ●靠爱