পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে জাগমন বরুণ। এই বাজারটা পূৰ্ব্বে হীরালাল শীলের ছিল। মধ্যে মিউনিসিপাল কমিলনর হগ সাহেব মিউনিসিপাল বাজার সংস্থাপনকালে দেখিলেন, ধৰ্ম্মতলার বাজার থাকিতে র্তাহার বাজারের উন্নতি হইবে না, সুতরাং অনেক চেষ্টা করিয়া দেখিয়া শেষে প্রচুর অর্থব্যয়ে বাজারটা এককালে খরিদ করিয়L লইয়াছেন। এরূপ করিবার কারণ এই—মিউনিসিপাল বাজার প্রস্তুত হইবার পূৰ্ব্বে এই ধৰ্ম্মতলার বাজারে সাহেবদিগের ঘাৰতীয় খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত হইত। ওদিকে শনির মত কে গেল । আপনার একটু দাড়ান, জামি শীঘ্ৰ ক’রে দেখে আসি । বরুণ প্রস্থান করিলে এক ব্যক্তি একটা কাগজে মোড়ক করা দ্রব্য এক দৃষ্টে দেখিতে দেখিতে নারায়ণের নিকট আসিয়া অতি মৃদুস্বরে কহিল, “মহাশয় । দেখুন--এই সাতনর গাছটি রাস্তায় কুড়িয়ে পেলাম, এটা সোনার ত ?” নারায়ণ দেখিয়া কহিলেন, “হ সোনারই বটে। তোমার আজ লাভের কপাল |” লোকটা তৎশ্রবণে ঈষৎ হাস্ত করিয়া কয়েক পদ প্রস্থান করিল এবং তৎক্ষণাৎ প্রত্যাগমন করিয়া নারায়ণকে পূর্বের ন্যায় মৃদু স্বরে কছিল "দেখুন, কাহাকেও কহিবেন না, এ ছড়াট। আপনি আট দশ টাকা দিয়ে খরিদ ক’রে লউন । আমার নিকট থাকিলে চোর মনে ক’রে পুলিসে ধরে নিয়ে যাবে। যাহারা খোয়া গিয়াছে, অমুসন্ধান পাইলে ফেরত দিতাম ; কিন্তু এ সহরে ত লোক খুজে পাওয়া যাবে না, লাভের মধ্যে প্রতারক বেটার এসে 'আমার’ বলিয়া প্রতারণা করিয়া লইবে ।” নারায়ণ কিয়ৎকাল চিন্তা করিয়া মনে মনে কহিলেন, “এমন সুন্দর রং ও গড়ন স্বর্গের স্বর্ণকারের করিতে পারে না। যদ্যপি খরিদ করিয়া লইয়। গিয়া নারায়ণীকে প্রদান করি, মর্ত্যে আসিয়া কালবিলম্বনিবন্ধন দারুণ অভিমানটা তিরোহিত হইতে পরিবে।” এই ভাবিয়া তিনি দশ টাকা মূল্য দিয়া সাতনর ছড়াট ক্রয় করিলেন । ইন্দ্র । আমি ভাই দাম দিচ্চি, ও ছড়াটা আমাকে দেও। নারা । তা আমি দেব কেন ? বলিতে কি, জলের দামে কিনেছি। এই সময় বরুণ আলিয়া কহিলেন, “শনি নয়, শুনলাম সে সহরের গলিতে গলিতে ফেরে ; কিন্তু দেখা পাবার যে নাই দেখা পেলে উপকে হাতে হাতে সমর্পণ ক’রে নিশ্চিন্তু ছ'ভাম।" a so