পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাপ্ত? বরুণ । ইহার নাম ফটোগ্রাফিকেল এক্টাবলিসমেন্ট । এখানে দুই টাকী মূল্য দিলে চেহারা তুলে দেয়। ইন্দ্র । বরুণ ! আমরা দেবতা হইয়া মর্ত্যে কি বেশে ভ্রমণ করিতেছি, স্বর্গে দেখাইবার জন্ত কয়েকখানি চেহারা তুলে নিলে হয়। কি বলেন ঠাকুরমা ? ব্ৰহ্মা । হানি কি ? একত্র সব কয়জনের তুলে দেয় ? বরুণ । দেবে না কেন ? “তবে লও” বলিয়া পিতামহ হস্ত করিতে করিতে কহিলেন, “নারায়ণ } বংশী হাতে ত্রিভঙ্গবেশে হাটে বাজারে ত বিস্তর বিক্রয় হইতেছ, অতএব তোমারও চেহারা কি তুলে নিতে হবে ? নারা। হংসোপরি চতুর্থ খেরও বাজারে অসম্ভাব নাই, অতএব তিনি যখন নিচ্চেন, আমি না নেব কেন ? সকলে বাটীর মধ্যে প্রবেশ করিয়া দর দপ্তর ঠিক করিলে একজন সাহেৰ আসিয়া দেবগণকে একটী অন্ধকার ঘরে লইয়া গিয়া বসাইল । পিতামহ গৃহমধ্যে প্রবেশ করিয়া কঙ্গিলেন, “বরুণ ! অন্ধকারে আমার বড় ভয় হ'চ্চে, চেহারা তোলায় কাজ নাই—পলাই চল " উপ কহিল, “কৰ্ত্তা-জেঠা ! সাহেবটা কি ক’রচে দেখি ।" বলিয়া একবার উঠে দাড়ায়, একবার ব'সে উকি মারে । সাহেব ছুটিয়া আসিয়া উপর্কে কহিল, “তুমি বড় চঞ্চল বালক, স্থির হয়ে বোসো, নচেৎ চেহারা খারাপ হবে ।" সাহেব বহির্গত হইলেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে দেবগণ স্ব স্ব চেহারার প্রতি চাহেন আর হস্ত করেন । উপ একবার চেহারা দেখে আর নারায়ণের প্রতি চায় । নারা । কি দেখ ছিল ? উপ। এরা ত ঠিক এ কেছে। বাজারে বেটার ঠাকুর কাকাকে বাদ্বরে ক’রে আঁকে কেন ? * - ব্ৰহ্মা । এত অল্প সময়ের মধ্যে এমন সুন্দর অঁাকলে কেমন ক’রে । বরুণ। আজ্ঞে—কলে । ব্ৰহ্মা। ঠিক ! ঠিক। আমি ভুলে গিয়েছিলাম, সাহেবের যে কলেই সব করতে পারে।_ এই সময় একপাল সাহেব বিবি আসিয়া উপস্থিত হওয়ায় পিতামহ ভয়ে পলাইতে চাহিলেন। বরুণ কহিলেন, “ভয় নাই, ইহারা নাটুকে সাহেব ; ইহাঙ্গের নিয়ম আছে, দলের মধ্যে স্বন্দরীদিগের চেহারা অঙ্কিজ, 8 to