পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতাগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ। ইহাকে লোকে 'নিজাম উদ্দীনের কূপ কহে। প্রতি-বৎসর এখানে একটি বিখ্যাত মেলা হয়, সেই সময় যাত্রীরা আসিয়া স্নান করে। ওদিকে দেখুন ফিরোজাবাদ সহর, উহা ফিরোজ শাহের কুত। ঐ স্থানে ২০ টি রাজবাটি, ১০ টি মঙ্গুমেন্ট, পাঁচটি কবর, তদ্ভিন্ন কালেজ, হাসপাতাল ইত্যাদি আছে। ঐ যে অত্যুচ্চ পিলার দেখিতেছেন উহাকে লোকে ‘ফিরোজ শাহের ছড়ি কহে ; উহ! এত উচ্চ যে পাঁচ ক্রোশ দূর হইতে দেখা যায়। এই বলিয়া, সকলে সাতপুলা বাধ দেখিতে চলিলেন। যখন র্তাহারা রাস্ত দিয়া যাইতেছিলেন, একটি দীর্ঘাকৃতি স্ত্রীলোক —আপাদমস্তক নয়ানমুখ থানের ঘেরাটোপে ঢাকা, রাস্তা দিয়া দূরে যাইতেছিলেন। দেবতারা তদর্শনে ‘ও: বাবা, এটা কি ? বলিয়া সবিস্ময়ে পলাইলেন । বরুণ। আপনারা উহাকে দেখিয়া ভয় পাইতেছেন কেন ? উনি কোন সন্ত্রান্ত মুসলমান-রমণী। হীনাবস্থানিবন্ধন পদব্রজে যাইতেছেন। এবং লোকে দেখিয়া পাছে চিনে বলিয়া সৰ্ব্বাঙ্গ বস্ত্রাবৃত করিয়াছেন । ইন্দ্র ৷ এস্থানের নাম কি ? বরুণ । ইহাকে লোক সাতপুলার বাধ’ কহে । তৈমুরলঙ্গ এইস্থান আক্রমণ করিয়া লক্ষ লক্ষ লোকের প্রাণ নাশ, অনেক বৃহৎ অট্টালিকা ধ্বংস করেন এবং বহুমূল্য দ্রব্য সামগ্রী হরণ করিয়া লইয়া যান। সেরশাহের পুত্র সলিমান এই নগর নিৰ্ম্মাণ করেন । এইস্থানে আওরঙ্গজেবের আদেশে মোরাদকে বন্ধন করিয়া আনা হয় এবং দারার পুত্রও এই স্থানে অবরুদ্ধ ছিলেন । এইস্থান ভারতের রঙ্গভূমি। এখানে মোগল, পাঠান ও হিন্দু রাজার অনেক রঙ্গ দেখাইয়াছেন । ব্ৰহ্মা। ওদিকে ও অত্যুচ্চ মন্দিরটি কি ? বরুণ। হুমায়ুন বাদশাহের টুম্ব, । ইহা দিল্লীর মধ্যে একটি আশ্চৰ্য্য মসজিদ । ইহার আকার অতি বৃহৎ, নিৰ্ম্মাণ করিতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হইয়াছিল। ঐ স্থানে হুমায়ুনের প্রিয় বেগম হামিদাবানুর ও দারার কবর আছে। তদ্ভিন্ন ফিরোজ শা, * জাহান্দার শ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় __ফিরোজশর সময় ইংরাজের স্বাধীনভাবে বাণিজ্য করিবার সনদ পান। 建邨