পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মৰ্ত্ত্যে আগমন ~ মহাত্মা উপ এত টাকা দান করিয়াছেন । তৎপরে পল্লীগ্রামের ছোট ছোট দুই চারিট স্কুলে পাঁচ টাকার হিসাবে কুড়ি টাকা দান করিব ; তাহারাও, সংবাদপত্রে লিখিতে থাকিবে, "সম্পাদক মহাশয় । উপ বাৰু আমাদের স্কুল ঘরের সাহায্যার্থে এই টাকা দান করিয়াছেন।” তৎপরে কিছু দিন চুপ ক’রে থেকে একটা লড়াইয়ে এক দমে এক শত টাকা দান করিয়া ফেলিব, তখন গবর্ণমেন্ট “আপনি ভদ্রলোক আপনি স্বদেশহিতৈষী, আপনার গুণে সন্তুষ্ট হইয়া রায়বাহাদুর উপাধি দিলাম। ঈশ্বর-কৃপায় আপনি স্বস্ব শরীরে খোসমেজাজে দীর্ঘজীবী হইয়া ঐ উপাধি ভোগ দখল করিত্তে থাকুন” বলিয়া সেকুহাও ক’রে বিদায় দিবেন। ব্ৰহ্মা। বায়বাহাদুর হবার পর আর তুই দান করবি নে ? উপ । আধার দান করবো কেন ? যে উদ্দেশ্বে দান করা–তা হলে আবার কে কোথায় দান ক’রে থাকে ? যদি জমিদার হইতাম, প্রজা পীড়ন ক’রে ঐ টাকাটা তুলে লইতাম ; আমি ত আর তা নই। ব্ৰহ্মা । আজিকালিকার দানটা ঐরূপই হুইয়াছে বটে ; লোকে নিজের স্বার্থের জন্যই দান করিয়া থাকে, পরোপকারের জন্য মহে । বরুণ । রাসমণি কি উপায়ে রাণী হইলেন বল ? বরুণ। ইনি ইংরাজ-দত্ত কাগজে ভূয়ো উপাধিধারিণী রাণী নহেন। অথচ রাণী উপাধিতেই বিখ্যাত ছিলেন । কে তাহাকে রাণী করিল, কিরূপে তিনি রাণী হইলেন, এক সময় এই বিষয়ের আন্দোলন উপস্থিত হইলে রাসমণি বলিয়াছিলেন, “আমি মার বড় আঘুরে মেয়ে ছিলাম, তিনি আমাকে আদর করিয়া রাণী রাণী বলিয়া ডাকিতেন, সেই হইতেই রাণী রাসমণি নাম হইয়াছে।” - ব্ৰহ্মা । বেশ চতুরা স্ত্রীলোক । বরুণ ! তুমি রাণীর বিষয় আরো বল ? বরুণ। ইহার পুত্রসস্তান ছিল না, কয়েকটা মাত্র কন্যা ছিল । যদুনাথ মাড় ই হার বড় দৌহিত্র । মন্ত্রনাথের মাতার—বাসমণি বর্তমানে মৃত্যু হওয়ায়, যদুনাথ মাতামহীর বিষয়ের উত্তরাধিকারী হইতে পারেন নাই । রাসমণি অনেক সৎকীৰ্ত্তি করিয়াছেন । তাহার কীৰ্ত্তির মধ্যে দক্ষিণেশ্বরে দ্বাদশটী মন্দির স্থাপন ও নবরত্ব প্রতিষ্ঠাই সক প্রধান । ঐ স্থানে কৃষ্ণ, কালী ও মহাদেবের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে । দেবালয়গুলির তিনি এমন স্ববন্দোবস্ত করিয়া গিয়াছেন যে, কশ্বিনকালে দেব দিগের সেবাক ; &&.