পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবগণের মর্তে আগমন

ীিগের দ্বারা নানাপ্রকার শিল্পকাৰ্য্য ও বৃক্ষাদি রোপণ করান হইতেছে। জেলেৰ

গন্ধুখে একটি পুষ্করিণী আছে, উহার চতুৰ্দ্ধিক কাঠের দ্বারা বেষ্টিত । ইঙ্গ। এ রাস্তাটির নাম কি ? r ৰক্ষণ । ঘোড়-দৌড়ের রাস্ত । ওদিকে ঐ ষে একটি ঘর ক্ষেণিতেছ - উহাতে বসিয়া সাহেবের ঘোড়-দোঁড় দেখিয়া থাকে। এ রাস্তাটির পরিমাণ ২৩ মাইল। রাস্তাটির মধ্যে মধ্যে হাফ (অর্থ ), কোয়ার্টার (সিকি ) মাইল ইত্যাদি কাঠের গাত্রে লেখা আছে। ঘোড়-দৌড়ের সময় বাঙ্গালীরাও মনে স্বনে বাজী রাখিয়া থাকে । নারা । সে কিরূপ ? বরুণ। মনে কর, চারিটি ঘোড়া ছুটিল দেখিয়া আমরা চাৰিজনে এখানে জাড়াইয়া বাজি রাখিলাম—কালটা আমার, হলদেটা তোমার, সাদাটা উপ’র, স্বাক্ষাটা দেবরাজের। উহার মধ্যে যাহারটা প্রথম হইবে, সে পঞ্চাশ কি একশত ষ্টাক বাজী জিতিবে । ব্ৰহ্মা। বরুণ ! বাসায় চল । আজ আর নগর ভ্রমণে কাজ নাই । আমাকে বাসায় যাইয়া আবার অবগাহন করিতে হইবে । “তবে চলুন" বলিয়া বরুণ দেবগণকে লইয়া বাসাভিমুখে চলিলেন । যাইতে ৰাইতে সকলে দেখেন-দুইজন হিন্দুস্থানী তাঁহাদের নিকট দিয়া যাইতেছে ; তন্মধ্যে একজনের শরীর জীর্ণ শীর্ণ কক্ষ, তাহার পরিধেয় বস্ত্রখানি অত্যন্ত ময়লা। অপরের শরীরটি বেশ নাদুস, মৃদুস, জাকালো রকমের ভুড়ি ; ইহার পরিধেয় বস্ত্রখানি পরিষ্কার, গলদেশে কতকগুলি মোহর মালা করিয়া ধারণ করিয়াছে। প্রথম ব্যক্তি কহিল “আপনি দেশে যাইয়া কি করিবেন ?” দ্বিতীয় ব্যক্তি কহিল “আমি যে সংস্থান করিয়া লইয়া যাইতেছি, দেশে যাইয়া সদাগরি কবিয়া তারা এমন সংস্থান করিব যে, আর যেন আমার পুত্র পৌত্রের মধ্যে কাহাকেও বাঙ্গালায় আসিয়া চৌবেগিরি করিতে না হয় । বোকা বাঙ্গালীর কি সংস্থান করিতে জানে ? আমি একটি লোটা ও একগাছি লাঠি সম্বল কৰিয়া জাসিয়া সেই লোটাটি মোহরে পূর্ণ করিয়া চলিলাম।" . প্রথম কহিল “আমিও লোটা সৰল করিয়া এদেশে আসিয়াছি। এক্ষণে কি উপায়ে সঞ্চা করিতে হইবে শিখিয়ে দেন। দ্বিতীয় কছিল, “তুমি একটা পদীগ্রামে যাইয়া কোন জৰীদারের বাটিতে খোৱাক পোষাক ও ছটাক আড়াই Cely