পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা বসিয়া বিচার করিতেছেন । নিকটে বাদী প্রতিবাদীর উকীল মোক্তারগণ দাড়াইয়া আছেন। পাহারাওয়ালার উপকে লইয়া এইখানে প্রবেশ করিল এবং বাগবাজার থানার ইনস্পেক্টর একজন মাতালকে ঝোলীয় করিয়া অন্যান্য আসামীর সহিত অনিয়া উপস্থিত করিল। প্রথমেই উহাদের বিচার আরম্ভ হইল। হাকিম মাতালকে কহিলেন, “তুমি অমুক বাক্তির গাল কামড়াইয়া দিয়াছ কেন ?” মাতলি কহিল, “হুজুর । ও নিজের গাল নিজে কামড়াইয়া আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়া আপনার নিকট অভিযোগ করিয়াছে। আপনি সুবিজ্ঞ হাকিম, বিচার করিয়া দেখুন, উহার গাল কামড়ান’তে আমার কি স্বর্থ আছে।" হাকিম কহিলেন, “তুমি বলিতেছ — ও উহার নিজের গাল নিজে কামড়াইছে ; ভাল –তুমি তোমার নিজের ! গাল নিজে কামড়াইয়া দেখাইতে পার ?” মাতাল “পারি” বলিয়া নিজের গাল নিজে কামড়াইবার জন্য নানাপ্রকার মুখভঙ্গী করিয়া অসমর্থ হইলে দেবগণ ও অপরাপর লোক হস্ত করিতে লাগিলেন । তখন মাতালের পক্ষের উকীল দাড়াইয়া কছিলেন, “হুজুর, আমার মকেল যাহা বলিতেছেন সত্য ; এরূপ মকদ্দমা আমি বিস্তর দেখিয়ছি এবং এই বেঞ্চে অনেক হাকিমের নিকট হইয়া গিয়াছে, যাহাতে সুবিজ্ঞ হাকিমেরা আসামীকে বেকমুর খালাস দিয়াছেন।” হাকিম কহিলেন, “তুমি প্রলাপ কহিতেছ, ভবিষ্ণুতে ওরূপ প্রলাপ কহিলে তোমাকে আদালত হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিব” বলিয়া মাতালের পাঁচ টাকা জরিমানা করিলেন এবং কহিলেন, “পুনরায় এরূপ কাজ করিলে গুরুতর দওভোগ করিতে হইবে।” এই মকদ্দমা শেষ হইলে কতকগুলি সাহেববাড়ীর বাবুর্চিকে কতিপয় কনষ্টেবল ধরিয়া আনিল । ইহাদের অপরাধের মধ্যে—কতকগুলি কুঁক্‌ড়োকে গাছের ফলের মত ঠ্যাং ধরিয়া ঝুলাইয়া লইয়া যাইতেছিল । হাকিম কহিলেন, “তোমরা উহাদের প্রাণবধ করিবার পূৰ্ব্বে অকারণ কষ্ট দিয়াছ, অতএব প্রত্যেকের চারি অনা অর্থ দগু করিলাম । ভবিষ্যতে ওরূপ করিলে গুরুত্তর দণ্ড ভোগ করিতে হইবে।” ইহার পর উপর মকদ্দমা উপস্থিত হইল। হাকিম পাহারাওয়ালাদিগকে তিরস্কার করিয়া কহিলেন, “কলিকাতায় কত লোকে কত লোকের সৰ্ব্বনাশ করিতেছে, তোমরা তাহার কোন খোঁজ খবর রাখিতে পার না, অথচ এই বালককে সামান্ত দোষে ধরিয়া জানিয়া বিলক্ষণ কষ্ট দিতেছ। তোমাদের 8 ዓፄ