পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা দেবগণ দাড়াইয়া অনেক মকদ্দমা দেখিলেন, তন্মধ্যে অধিকাংশ বেশুসংক্রান্ত ব্যাপার । আসামীদের অধিকাংশ ভদ্রসস্তান । কোনও বেখ্যা খোরণকীর দাবী দিয়া নালিশ করিয়াছে ; কেহ চুরীর দাবী দিয়াছে ; কেহ দাঙ্গাহাঙ্গামার জন্য নালিশ করিয়াছে ইত্যাদি ইত্যাদি । - দেবগণ অপর গৃহে প্রবেশ করিয়া দেখেন—অার একজন ম্যাজিষ্ট্রেট বিচারাসনে বসিয়া বিচার করিতেছেন। নিকটে দাড়াইয়া একটী বেশুঃ কঁদিতে কঁদিতে কহিতেছে, “হুজুর । আমি কোন অপরাধ করি নাই, তবে কি কারণে পুলিসের লোক যাইয়া আমার হাজার, বার শত টাকা আন্দাজের গহনাপত্র লইয়া গেল এবং অদ্য বেলা দশটার সময় হুজুরের নিকট হাজির হইতে কহিল ?” ম্যাজিষ্ট্রেট তৎশ্রণে পূলিসকে ডাকিয়া জানিলেন, তাহার কেহ এ কাজ করে নাই । তখন অনুসন্ধানে স্থির হইল, জুয়াচোরের পুলিস সাজিয়া এই কাজ করিয়াছে। বেগু তংশ্ৰবণে কাদিতে কঁদিতে মূৰ্ছিত হইল । পরে আদালত হইতে জুয়াচোর ধরিয়া দিবার পুরস্কার ঘোষণা হইলে, বেতা চক্ষু মুছিতে মুছিতে প্রস্থান করিল। যাইবার সময় বলিয়া গেল, “অনেক ছেলের মাথা খেয়ে গহনাগুলি ক'রেছিলাম, জুয়াচোর বেটার! আমার মাথা খেলে ।” এখান হইতে যাইতে যাইতে ইন্দ্ৰ কহিলেন "বরুণ । ঐ যে সাহেবেরা স্ত্রী পুত্ৰ লইয়া বাস করিতেছে, উহার কারা ?” বরুণ । উহার বিলাতী কনেষ্টবল। উহার এই স্থানে বাস করিয়} থাকে । এই কনেষ্টবলের প্রত্যেক ইংরাজপল্পীতে, বিশেষতঃ লালবাজারের মোড়ে, আর ইংরাজপল্লীর মধ্যে যেখানে যেখানে মদের দোকান আছে তথায় ও প্রত্যেক ব্যাঙ্কে এক একজন করিয়া পাহারা দিয়া থাকে । এখীন হইতে দেবগণ বাহিরে আসিলেন । বাহিরে আসিয়া দেবরাজ আর চলিতে পারেন না, গ'লে হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন । বরুণ দেখিয়া কহিলেন, “ইন্দ্রণ অমন ক'রে ব’সলে যে ?” ইন্দ্র। ভাই । আমার চোন সহিত ঘড়িট কে অপহরণ করিয়াছে ? নারা। য়n—সে কি । অমন লালবাজার পুলিসের মধ্যে জুয়াচুরি । ব্ৰহ্ম । বেস হয়েছে, তোদের ব'ল্পে ত গুনবি নে, কলিকাতায় জাসিয়া ፀዓቖ..