পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৬৬

দেবগণের মৰ্ত্তে আগমন বরুণ। বাড়ীটির নাম রাইটার বিল্ডিং । ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর শাসনকালে এই বৃহদাকার বাড়ীটি প্রস্তুত হয়। এ বাটি প্রস্তুত হইবার কারণ, তখন এ দেশে কেরাণী পাওয়া যাইত না ; এজন্য বিলাত হইতে কেরাণী আমদানী করা হইত। সেই সমস্ত কেরাণীর বসবাসের জন্য এই বাট প্রস্তুত হওয়াতে রাইটারস বিল্ডিং অর্থাৎ কেরাণীখানা নাম হুইয়াছে। এক্ষণে এই বাটতে এক্‌জিকিউটভ, ইঞ্জিনিয়ার, মুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, চিফ ইঞ্জিনিয়ারের অফিস আছে। তদ্ভিন্ন পূৰ্ব্বে এই বাড়ীতে রেলওয়ে কনসলটিং ইঞ্জিনিয়ার, এজেণ্ট অফিস, অডিট অফিস, চিফ ষ্টোর কিপার অফিস, ষ্টেসনরি অফিস, ক্যাস অফিস এবং চিফ পে মাষ্টাবের অফিস প্রভৃতি কতগুলি আফিস ছিল । এক্ষণে রেলওয়ে কোম্পানী নিজ বাটী প্রেস্তুত করাতে তৎসমূদায় আফিস উঠিয়া গিয়াছে। এখানে বিস্তর কেরাণী কাজ কৰ্ম্ম করিয়া থাকে । তাহাদিগকে বহন করিয়া অনিবার জন্যই এই সমস্ত গাড়ী পাঙ্কি রহিয়াছে । এখান হইতে এক স্থানে যাইয়া উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “দেবরাজ সম্মুখে দেখ গবর্ণমেণ্টের নূতন বাড়ী। পূবে বেঙ্গল সেক্রেটরিয়েট প্রভৃতি কয়েকট অফিস চৌরঙ্গী রাস্তার ধারে একটা ভাড়াটে বাড়ীতে ছিল । এক্ষণে গবর্ণমেণ্ট রাইটাস বিলডিংয়ের উত্তরাংশে এই তিনট প্রশস্ত বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়া রেভিনিউ বোড এবং বেঙ্গল সেক্রেটরিয়েট আফিস উঠাইয়া, আনিয়াছেন । ইন্দ্র । বেঙ্গল সেক্রেটরিয়েট আফিসে কি কাজ হয় ? বরুণ । বাঙ্গালীর মধ্যে যত বিচারালয় আছে, এখানে তৎসংক্রাস্ত সমস্ত হিসাব পত্র প্রস্তুত হইয়া থাকে। এখানেও বিস্তর কেরাণী কাজকৰ্ম্ম । করিতেছে। মফঃস্বলের বিধাতা মাজিষ্ট্রেট মহোদয়দিগের বদলি, বাহাল ও বেতন বৃদ্ধি প্রভৃতির কার্য্যও এই স্থানে হইয়া থাকে। গ্রীষ্মকালে ছোট লাটের সহিত এই অফিসের অৰ্দ্ধেক আন্দাজ দারুজিলিঙে যায়। নারা । কেন ? আফিসগুলোরও কি গরম বোধ হয় ? বরুণ। কাজে কাজেই । অফিসের কৰ্ত্ত যখন গরমে ছট ফট, করিতে থাকেন, তখন অফিস কিরূপে ঠাণ্ড থাকে? ফল কথা, আফিস আদালত রাজপুরুষদিগের সঙ্গে সঙ্গে না থাকিলে কাজ চলে না । ইহাদের শয়ন ভোজন উপবেশনের স্থায় অফিসটাও সঙ্গে সঙ্গে থাকা চাই । ՅԵ-Հ