পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ব্ৰহ্মা । দেশ উৎসন্ন যাবে ! ইহার পর লোকের নাপিতের অভাবে সব্বাঙ্গে চুল, ধোপার অভাবে মলিন বস্ত্র এবং মুদফরাসের অভাবে মরে ঘরে পচিতে হবে । এখান হইতে যাইতে যাইতে এক স্থানে উপস্থিত হইয়া নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ ! ঐ যে দেখা যাইতেছে, উহার নাম কি ?” . * বরুণ । ইহার নাম ওরিয়েণ্টেল ব্যাঙ্ক । বাঙ্গালীদের যাবতীয় বেনেতি রোকড়ের কার্য এই স্থানে হইয়া থাকে—অর্থাৎ লোকে এখানে টাকা জমা রাখিয়া থাকে। অনেকে কোম্পানীর কাগজপত্র বন্ধক দিয়াও এখান হইতে টাকা লয়। এই ব্যাঙ্কের মূলধন এক্ষণে বেশী হওয়াতে অন্যান্ত ব্যাঙ্ক অপেক্ষ ইহার কম মুদে টাকা রাখিয়া থাকে এবং যে মেয়াদে টাকা রাখা যায়, সেই সময়ে সুদ ও নির্দিষ্ট দিবসে টাকা ফেরত দিয়া থাকে । এখানে ‘যখন ইচ্ছা টাকা লইব' এরূপ সৰ্ত্তে টক রাখিলে সুদ পাওয়া যায় না । এই ব্যাঙ্কের উপর গচ্ছিত টাকা বাড়াইয়া দিবার ভার দিলে ইহারা সস্তার বাজারে কোম্পানীর কাগজ কিংবা ব্যাঙ্কবিল অথবা কোন কোম্পানীর অংশ খরিদ ও বিক্রয় করিয়া থাকে। এখানেও প্রতারণা চলে । ব্ৰহ্মা ওরে ভাই ! প্রতারণার কাল পড়েছে, তা প্রতারণা চ’লবে না ? ইন্দ্র। বরুণ ! এখানে কি উপায়ে প্রতারণা হয় ? বরুণ। ব্যাঙ্কের লোকের সাহায্যে অনেক প্রতারক অপর লোকের চেকের নম্বর জানিয়া লইতে পারে এবং এক এক খানি জাল চেক প্রস্তুত করিয়া বেহারার স্বারা ঐ চেক পাঠাইয়া দিয়া এখান হইতে টাক লইয়া যাইতে পারে । এখান হইতে যাইয়া দেবগণ এক স্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন, অনেকগুলি আফিস রহিয়াছে এবং কতকগুলি বাঙ্গালী বসিয়া কাজকৰ্ম্ম করিতেছে । নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ । এই স্থানটির নাম কি ? ও আফিলগুলি কাহীদের ?” বরুণ। এই স্থানের নাম নূতন চীনেবাজার, এই আফিসগুলির নাম কাপ্তেনী অফিস । নারা । কাপ্তেনী অাফিস কি ? বরুণ । এক একজন বাঙ্গালীর ৩।৪ ঘর বিলাতী সদাগরের সহিত t}ե է