পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্তো আগমন নাকি ? উঃ সাহেবদের মধ্যেও কি এমন চগুলি অাছে ? কেতাৰখানা বডেড লিখচে । এ লোকটা কে বরুণ ?” বরুণ । ইহার নাম দীনবন্ধু মিত্র। ইনি কৃষ্ণনগরের অন্তঃপাতী চোবেড়ে নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ইহার পিতার নাম কালাচাঁদ মিত্র । প্রথমে ইনি হুগলী কলেজে ও তৎপরে হিন্দু কলেজে বিদ্যাধ্যয়ন করিয়াছিলেন। বিদ্যালয় পরিত্যাগ করার পর ইনি কিছুদিন হিন্দু কলেজের শিক্ষকতার কার্য্য করেন ও তৎপরে পোষ্ট আফিস সংক্রাস্ত কর্ঘ্যে নিযুক্ত হন। ইনি নীলদর্পণ, লীলাবতী, সধববার একাদশী, বিয়েপাগল বুড়ো, নবীন তপস্বিনী,স্বরধুনী কাব্য, স্বাদশ কবিতাবলী, জামাইবারিক ও কমলে কামিনী প্রভৃতি উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট পুস্তক লিখিয়া অমরত্ব লাভ করিয়াছেন । গবর্ণমেণ্ট ইহার বিদ্যা-বুদ্ধির পরিচয় পাইয়া রায় বাহাদুর উপাধি প্রদান করিয়াছিলেন। ব্ৰহ্মা ! আহা ! ভাল লোকগুলিকেই যম আগে লয় । এই সময়ে দেবরাজ ও নারায়ণের শিরঃপীড়া কমিয়া যাওয়ায় উঠিয়া বসিলেন । পিতামহ উপকে পুস্তক পাঠ বন্ধ রাখিতে বলিয়া জলযোগের উদযোগ করিতে আদেশ দিলেন । জলযোগ সমাপ্ত হইলে তাহদের কর্ণে খেন স্ত্রীলোকের ক্ৰন্দনধ্বনি প্রবেশ করিল। তখন সকলে ছুটিয়া ছাদে আসিয়া দেখেন—ৰ্তাহীদের বাসার পশ্চাদ্ভাগের একটী গলি হইতে একখানি ঘোড়ার গাড়ী বাহিরে আসিতেছে । গাড়ী-খানির স্বার বন্ধ । ভিতরে একটী স্ত্রীলোক কঁদিতে কঁাদিতে কহিতেছে—দাদা ! আমাকে চোরের মত ধ’রে কোথায় নিয়ে যাচ্চ ? আমার বড় ভয় ক’চে, তোমার পায় পড়ি নিয়ে যেও না। “চুপ কর, এ বড়বাজার, এখনও অনেক লোক জেগে আছে। গোল ক’রবি কি, কেটে ফেলবো । আমি তোকে বাগানে নিয়ে যাচ্চি ।” "দাদা ! বল কি ? কৈ কেউ ত কখন বোনকে বাগানে নিয়ে যায় না।” “দরকার হ’লে সকলেই নিয়ে যায়। তোর পেটের ওটাকে নষ্ট করতে হবে । নচেৎ ছেলে হ’লে কি মুখ দেখাতে পারবি?” . গাড়ীখানি চলিয়া যাইলে পিতামহ কহিলেন, “বরুণ ! আমি ত কিছু বুঝিতে পারিলাম না।” বরুণ। কোন বাবুর বিধবা ভগ্নীর গর্ত হইয়াছে, সেই জন্য বাগানে ভ্রুণহত্যা করিতে লইয়া যাইতেছেন। পিতামহ বিনা-বাক্যব্যয়ে গৃহমধ্যে প্রবেশ করিয়া কছিলেন, উপ, সে 毯》俄