পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ময়লা কাপড়গুলো কোথায় বাবা ?” বরুণ তৎশ্রবণে কহিলেন “কেন ঠাকুরদা ?” ব্ৰহ্মা । পালাই। এখানে আর কি থাকিতে আছে ! এ সব শুনলে পাপ, দেখলেও পাপ । বরুণ। চক্ষের উপর দেখলে পাপ কি ? আপনি কিংবা আমি কিছু স্বহস্তে ঐরুপ করাচ্ছিনে। যে যে প্রকার কাজ করিতেছে, সে তদ্রুপ ফলভোগ করিবে। সকলেই পূৰ্ব্বজন্মের পাপ পুণ্যের ফলাফল ভোগ করিয়া থাকে ; নচেৎ এ জগতের এ প্রকার গতি কেন ? কেহ রাজা, কেহ পথের ভিখারী ; কেহ পুত্র লাভ করিয়া আনন্দিত, কেহ পুত্র হারাইয়া নিরানন্দ ; কেহ মুষ্টিভিক্ষার জন্ত লালায়িত, কেহ শত শত লোকের আহারীয় দ্রব্য পশু পক্ষীকে খাওয়াইতেছে। দেখুন, এই রজনীতেই কত লোকের কত সৰ্ব্বনাশ হইতেছে, কত লোকের আজি সুখের নিশা উপস্থিত হইয়াছে । কোন দম্পতী সুখে হাস্ত পরিহাস করিতেছে, কোন দম্পতী জন্মের মত পরস্পরের নিকট হইতে চিরবিদায় লইতেছে। কেহ সুস্থিরচিত্তে নিদ্রামুখ অনুভব করিতেছে, কেহ মৃতপুত্র ক্রোড়ে পাগলিনীপ্রায় বসিয়া নিশা যাপন করিতেছে । আমি কে ? বিধাতা কে ? সকলই মকুষ্যের হাত । মনুষ্য সৎপথে থাকিয়া সৎকাৰ্য্য করিলে সুখভোগ এবং অসৎপথে থাকিয়া অধৰ্ম্মাচরণ করিলেই দুঃখ পায় । দেখুন, একজনের একমাত্র পুত্র, অন্ধের যষ্টি, হৃদয়ের ধন, চক্ষের মাণিক,—কাল হরণ করিল। সকলেই দুঃখিনীর দুঃখ ও সকরুণ বিলাপবাক্য শ্রবণে কহিল, “আহা ঈশ্বর, —তোমার কি বিড়ম্বন " কিন্তু তাহারা ভাবিল না যে, ঈশ্বরের এ বিষয়ে কোন দোষ নাই ; ঐ দুঃখিনী নিজকর্মের ফলাফল ভোগ করিল। নচেৎ কালের এমন কি সাধ্য যে, বিনা অপরাধে অকালে তাহার পুত্রকে স্পর্শ করে ? এই জগতে প্রতিনিয়ত কত অধৰ্ম্মাচরণ ঘটিতে ছে। কত লোকে কত লোকের সর্বনাশ করিতেছে ; সকল সমাচারই কি আমাদের কানে আসে ? না, তৎসমুদায়ের বিচার করিবার সময় থাকে ? অতএব এই স্থানেই লোকে নিজ কৰ্ম্মামুযায়ী ফলাফল ভোগ করে—স্বৰ্গ ও নরক এই স্থানেই অাছে। মেথর জাতি সেই নরকযন্ত্রণা ভোগ করিতেছে এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিরা স্বর্গমুখ প্রাপ্ত হুইতেছে । আপনার পলাইবার আবগুক কি ? আসুন, আমরা মনুষ্য-চরিত্র ভাল করিয়া পরীক্ষা করি। তাহা হইলে পরে স্বর্গে ইহাদের কার্ষ্যের উচিত বিচার করিতে সমর্থ হইব । 8冷参考