পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झैिँौ নামে ব্যাঙ্ক আছে। এখানকার পুস্তকালয় দেখিতে ভাল। উহাতে অনেক নাগরী ও পারসী পুস্তক আছে। দিল্লী-মিউজিয়ামে অনেক নাক কাণ, ভাঙ্গ প্রতিমূৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায় ; কিন্তু কাহার তাহ স্থির হয় না। মিউজিয়ামের ভিতরে সার হেনরী লরেন্স, সার চার্লস মেটকাফ প্রভৃতি কতিপয় ইংরাজ মহাপুরুষের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। মিউজিয়ামর পূর্বদিকে কলেজ ও কুইনের বাগান। এই বাগানের গেটে আকবর-নির্মিত জলমলের প্রতিমূৰ্ত্তিসহ কাল প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত হাতী আছে। দেওয়ালীর সময় দিল্লীতে বড় সমারোহ হইয়া থাকে। এই সময়ে প্রত্যেক দোকানদার দোকানঘরগুলি উত্তমরূপে স্থসজ্জিত করিয়া আলো দেয়, এবং প্রত্যেক ঘরে নৃত্য-গীত হয়। মহাজনেরা এ সময়ে সংবৎসরের টাকা আদায় করে এবং হিন্দুরা লক্ষ্মীপূজা করিয়া থাকে। এমন সময় এক ব্যক্তি “চাই দিল্লীকো লাড “চাই দিল্লীকো লাড বলিয়া দেবগণের নিকট উপস্থিত হইল । তখন ব্রহ্মা কহিলেন, “অনেকদিন অবধি নাম শুনা আছে, কিন্তু কখন খাই নাই।” ইন্দ্র কহিলেন, “যদি ভাল হয়— ছেলেপিলের জন্য সিকে পাচের কিনে নিয়ে যাইব । নারায়ণ কহিলেন, “আমিও কিছু নিয়ে গিয়ে শনি-ফনিকে খেতে দেব যে, তাহারা পচ তাবে না।” বলিয়া, চারি পয়সা করিয়া দরচুক্তি করিলেন এবং প্রত্যেকে ক্ষীর দিয়া ছাওয়া ੱਚੋਣ কামড় মারিয়া থুথু করিয়া কাষ্ঠের গুড়া ফেলিয়া ফেলিতে পচ তাইতে পচ তাইতে চলিলেন । কিয়ংদুরে যাইয়া পিতামহ দেখেন, কতকগুলি মোল্লা কাছ খুলে ফয়ত দিচ্চে । ইনি আর কখন ফয়ত দেওয়া দেখেন নাই ; সুতরাং হাসিতে হাসিতে কহিলেন “বরুণ ! ওরা কি করচে ?” বরুণ । ঈশ্বরকে ডাকচে ? ব্ৰহ্মা । কাচা খোলা কেন ? বরুণ । তা না হলে তিনি সস্তুষ্ট হন না । এইসময় নারায়ণ বরুণের কাণে কাণে কহিলেন “দিলীর বাঈ ভাল শোনা ছিল ; কিন্তু মাগীরা বারাণ্ডায় বসে যে গুডুক তামাক খাচ্চে, দেখে অশ্রদ্ধা হয়ে গেল !” ষ্টেশনে যাইয়া দেবগণ দেখেন, “ট্রিং ল্যাটাং* “ট্রিং ল্যাটাং” শব্দে টিকিটের & Co.