পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা হুগলীর দিকে বর্ধমানের ষ্টেসন হইতে সহরাভিমুখে পথিকদিগের গমনাগমন করা ভার হইয়াছে । ইহারা ঐ সমস্ত রাস্তার দুই ধারে দলে দলে বসিয়া থাকে এবং পথিকদিগকে ধরিয়া টানাটানি করে । সময়ে সময়ে দুই চারি পয়সা দিলে ইহার মিথ্য সাক্ষ্য পর্যন্ত দেয় । নারা । মিথ্য সাক্ষ্য দিলে জেরার মুখে ধরা পড়ে না ? এদের বাড়ী কোথায় আর আসামী ফরিয়াদির বাড়ী কোথায় ! ইহাঙ্গের সাক্ষ্য কি ব’লে গ্রাহ্য হয় ? - বরুণ । ইহার হাকিমকে বলে, আমার বাড়ী থেকে শ্বশুরবাড়ী যাইবার পথে আসামীর বাড়ী। আমি যে দিন আমার বাড়ী যাচ্ছিলাম, দেখি উহাদের ঐরূপ মারপিট হইতেছে । একবার একজন কালা নবদ্বীপ হইতে কৃষ্ণনগরে আসিতেছিল, পথিমধ্যে ডেপুটী মোক্তারের বলে “তোমার কি কোন মকদ্দমা আছে?” কালা বধিরত-প্রকাশভয়ে ‘’ছ” বলিয়া উত্তর দেওয়ায় ঐ মোক্তারের দল তাহাকে কাধে করিয়া গোয়াড়ী পর্য্যন্ত আনিয়া ছিল । আর এক সময় একজন প্রতাবুক কোন ডেপুটী মোক্তারের বাসায় যাইয়। মকদ্দমা আছে বলায় গুরু-আদরে বাসায় স্থান প্রাপ্ত হয় এবং রজনীযোগে মোক্তারের যথাসৰ্ব্বস্ব অপহরণ করিয়া লইবারও সুযোগ পায় । আর একজন মোক্তার একটা মক্কেল জুটায় । এই মোক্তারের পরিবার ইতিপূৰ্ব্বে কুলটাকৃত্তি অবলম্বন করিয়া গৃহ হইতে পলাইয়া যায় এবং এই মক্কেলের সহিত থাকিয়৷ স্ত্রীর ন্যায় ঘরকন্না করে । কিন্তু মোক্তার এ বিষয় জানিত না, সুতরাং মক্কেল মকদমায় জয়লাভ করিলে তাহার বাসায় পুরস্কার আনিতে যায়ু এবং “মাঠাকরুণের নিকটেও খুশি হয়ে বিদায় লব” বলিয়া, বাটার মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখে সৰ্ব্বনাশ ! - দেবগণ ক্রমে গল্প করিতে করিতে ছোট আদালতে যাইয়া,উপস্থিত হইলেন । ইন্দ্র। বরুণ ! এ আদালতের নাম কি ? ব্ররুণ। ইহার মাম কলিকাতার ছোট আদালত । ব্ৰহ্মা । ছোট আদালতে কি কাজ হয় ? বরুণ। এই আদালতে কলিকাতার যত সামান্য সামান্য মকদ্ধমার বিচার হইয়া থাকে। এখানে সৰ্ব্বসমেত পাঁচজন জজ আছেন, তন্মধ্যে একজন বাঙ্গালী ও চারিজন ইংরাজ । হরচন্দ্র ঘোষ ও রসময় দত্ত এই স্থানের জজ ছিলেন। মৃত হরচন্দ্র ঘোষের প্রস্তরনির্মিত অর্ধ-প্রতিমূৰ্ত্তি অস্তাপি ঐ দেখুন (*):