পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ । দুৰ্দ্দস্তি নবাব সিরাজদ্দৌলা, ইংরাজ বণিকের বিশেষ সঙ্গতিশালী লোক শুনিয়া এক দিন গোপনে আসিয়া তাহীদের কেল্লা আক্রমণ করেন । অনেক ইংরাজ স্ত্রীসহ পলাইয়াছিলেন । কেবল ১৪৬ জন লোক ধরা পড়ে । উহাদিগকে তাহার অনুচরেরা একটী ২২ হাত দীর্ঘ ও ১২ হাত প্রস্থ অন্ধকার ঘরে অবরুদ্ধ করে। ঐ দিন অত্যন্ত গ্রীষ্ম থাকায় বিশেষতঃ ঘরে ছোট ছোট দুটি মাত্র জানালা থাকায় ঐ ১৪৬ জন মারামারি করিয়া এবং এ ওর কাধে দাড়াইয়া, ও ওর কাধে দাড়াইয়া জানালার নিকট যাইয়। বাতাস লইবার চেষ্টা পায় । এবং সমস্ত রাত্রি জল জল শব্দে চীৎকার করে । প্রাতে দেখা যায়, ১৪৬ জনেৰ ২৩ জন মাত্র জীবিত আছে । এই ঘরট ফোর্ট উইলিয়ম দুর্গের একটী সৈনিক জেল ছিল । ১৭৫৬ খ্ৰীঃ অব্দের ১০ই জুন এই ঘটনা হইয়াছিল। ব্ৰহ্মা । আহা ! কি অত্যাচার । গাড়ী ক্রমে বৌবাজারের মধ্য দিয়া কলেজ ষ্ট্রীটে আসিয়া পন্থ ছিল । এবং তথা হইতে গোলদীঘির ধারে যাইল । বরুণ কহিলেন, “এই স্থানের নাম কলেজস্কোয়ার । ঐ যে মনুষ্য অপেক্ষাও উচ্চ লৌহ রেলিং দ্বারা পরিবেষ্টিত স্থান দেখিতেছেন, যাহার দক্ষিণদিকে একটি পুষ্করিণী আছে, ঐ স্থানের উত্তরদিকে হিন্দু স্কুল এবং সংস্কৃত কলেজ। পূৰ্ব্বে ঐ স্থানেই প্রেসিডেন্সি কলেজ ছিল এক্ষণে নূতন বাড়ী প্রস্তুত হওয়ায় প্রেসিডেন্সি কলেজটি উঠিয়া গিয়াছে । সংস্কৃত কলেজের বাড়ীটি দুই তালা এবং ইহাতে একটি পুস্তকালয় আছে। অপর জুটি বিদ্যালয় একতাল । দেবতার গল্প করিতে করিতে একটি বৃহদাকার অট্টালিকার নিকট যাইয়া সবিস্ময়ে চাহিতে লাগিলেন এবং দেবরাজ কহিলেন, “বরুণ ! এ বাড়ীটি কি ?" বরুণ। ইহার নাম ইউনিভার্সিটি বিলডিং। কলিকাতার মধ্যে ইহা একটা উৎকৃষ্ট বাড়ী । ইহার সদৃশ বৃহদাকার স্বনার দালান কলিকাতায় দ্বিতীয় নাই। পূৰ্ব্বে টাউনহলের দালানটীকে সব্বোৎকৃষ্ট বলা যাইত। এক্ষণে এই দালানটা সৰ্ব্বোচ্চ স্থান প্রাপ্ত হইয়াছে। বাড়ীটির সম্মুখস্থ থামগুলি কেমন উচ্চ ও জুলাকার দেখ । বাড়ীটি নিৰ্ম্মাণ করিতে গবৰ্ণমেণ্টের বিপুল অর্থ ব্যয় হইয়াছে। এই বাড়ীতে সিণ্ডিকৈট বসে এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত যাবতীয় সভাদির অধিবেশন হয়, এইজন্তই ইহার নাম ইউনিভার্সিটি বিলডিং অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় নাম হইয়াছে। পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী বালকগণকে স্থানাভাবে দরিদ্রের বাড়ীতে ব্ৰাহ্মণ ভোজনের স্তায় পাত হাতে করিয়া ১ e