পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা ঃ ডঃ সুকুমার সেন প্রসঙ্গ : দেবগণের মর্ত্যে আগমন দেবগণের মধ্যে আগমনের লেখক যে বিষয়বস্তু সম্বন্ধে 'স্বরলোকে বঙ্গের পরিচয়' বইটি থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তাতে কোনই সন্দেহ নেই। তেমনি সন্দেহ নেই যে রচনাটির আদল পেয়েছিলেন দীনবন্ধু মিত্রের স্বরধুনী কাব্য’ থেকে । দুর্গাচরণ রায় চালিয়েছিলেন র্তার কলমের গাড়ী দীনবন্ধু মিত্রের পাতা রেল লাইনে । তবে দীনবন্ধু ভেসেছিলেন গঙ্গা-যমুনা ধারাস্রোতে, দুর্গাচরণ চড়েছেন এক ও রেলগাড়ী । দুজনেরই উদ্দেশু উত্তরাপথের প্রাচীন তীর্থ ও নগরের বর্ণনা দেওয়া এবং বিশেষ করে কলকাতার কথা বলা । তা হলে দুর্গাচরণের বইয়ে নতুন বলে কিছু নেই ? খুব আছে। দুর্গাচরণ যে সব ছবি একে গেছেন তার রস ও রং অনেকটাই হতোম প্যাচার নক্শা’ ও ‘হরিদাসের গুপ্তকথা জাতীয় গ্রন্থ থেকে নেওয়া । এই কারণে এই বৃহৎ বইটি তীর্থ-কাহিনী ও ভ্রমণকারীর গাইডবুকে পর্যবসিত না থেকে একটি উপাদেয় গ্রন্থ হয়েছে। দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অনেক কথা আছে বইটিতে । সে সব কথাই সত্য নয়। এবং তা নয় বলেই বইটির মূল্য। লেখকের উৎসাহ ছিল, নিষ্ঠাও ছিল। কিন্তু লিখেছিলেন অত্যন্ত শিথিলভাবে । তাই ভাষাও সর্বত্র মার্জিত নয়। কিন্তু পড়বার সময় সেদিকে নজর পড়ে না। বাংলা ভাষায় এমন বই খুব কমই আছে যা গল্প উপন্যাস নয় কিন্তু পড়তে গল্প-উপন্যাসের মতোই ভালো লাগে। সে গ্রন্থগুলির একটি হল এই "দেবগণের মর্ত্যে জাগমন’ । যিনি লেখাপড়া জানেন র্তার কাছে সবচেয়ে বড়ো ভোজ হল মনের মতন বই পাওয়া । আশা করি এই তোজে ভাগ বসাবার লোকের यष्ठांव छ्द नt । _প্রস্বত্নমার ।