পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা' এই সময়ে একটি স্বন্দর ছেলে বাহিরে আসিল । ছেলেটার বয়স অতি অল্প ; কিন্তু এমন ফিটফাট বাবু সাজিয়াছে, এমন কেতা-সই চুল ফিরাইয়াছে এবং এমন ভঙ্গীর সহিত কালাপেড়ে ক্টোচান ধুতির কোচ বাম হস্তে ধরিয়L আছে, যে দেবগণ অবাকৃ হইয়া দেখিতে লাগিলেন। নারায়ণ কহিলেন “বাবু! কোন ক্লাশে পড় ?” বালক বলিল, “বাবুজ ক্লাশে পড়ি" বলিয়া, হাস্ত করিয়া চলিয়া যাইল । ইন্দ্র। বাবুজ ক্লাশ কি বরুণ ? বকুণ । অধিকাংশ বিদ্যালয়ের এক একটা ক্লাশ বা শ্রেণীতে মধ্যে মধ্যে এত বালক হয় যে, একজন শিক্ষক পড়াইয়া উঠিতে পারেন, না স্বতরাং স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র শিক্ষক নিযুক্ত করিয়া ঐ শ্রেণীকে দুই খণ্ডে বিভক্ত করিয়া ফেলা হয় । তাহার নাম হয় প্রথম ও দ্বিতীয় ( সেক্সন ) বিভাগ । ঐ সময় ভাল ছেলেগুলিকে প্রথম ও বকাটে বাবু ছেলেগুলিকে দ্বিতীয় বিভাগে লওয়া হয়। ঐটি দ্বিতীয় বিভাগের ছাত্র ; ছাত্রদিগকে শিক্ষকেরা সময়ে সময়ে উপহাসচ্ছলে বাবু বলিয়া ডাকেন। সেই হইতেই ক্লাশের নাম বাবুজ ক্লাশ ব্ৰহ্মা । আহা ! পিতা মাতা বালকগণের বিদ্যাশিক্ষার্থে বিদ্যালয়ে দিয়! যথেষ্ট খরচপত্র করিতেছেন ; কিন্তু ছেলেরা যে অল্প বয়সে বাবু সাজিয়া অধঃপাতে যাইতেছে, তাহারা সে বিষয়ের কি সন্ধান রাখেন না ? বরুণ। ঐ বাবু-ছেলেদের পিতা মাতার টাকার অসম্ভাব নাই। তাহার। অর্থোপার্জন কিংবা জ্ঞানোপার্জন উদ্দেশ্যে বালকগণকে বিদ্যালয়ে পাঠান না । গাড়ী ঘোড়া রাখা, চিড়িয়াখানা করা যেমন বড় লোকের সক, ছেলে সাজাইয়া স্কুলে পাঠান, ইহাও একটি সকের মধ্যে। নচেৎ পিতা মাতা স্বহস্তে বালকগণকে বাবু সাজাইয়া বিদ্যালয়ে পাঠাইবেন কেন ? তাহদের অনেকে মনে করেন, কত তপস্ত ক’রে নীলকাস্তমণি কোলে পেয়েছি ; বাছ আমার লেখা পড়া শিখুক, আর না শিখুক, নিবেবৰ্ণধ হয়ে বেঁচে থাকুক। ইন্দ্র। ছিঃ ! ছিঃ ! তাহা হইলে সেই সমস্ত পিতা মাতা বড় নিকেবাধের স্থায় কাৰ্য্য করিতেছেন । র্তাহারা কি জানেন না—লক্ষ্মী চিরদিন এক স্থানে থাকেন না, অতএব আজ যদি তিনি র্তাহাদিগকে ছেড়ে পালান—নিবোধ নীলকান্তমণি নিয়ে কি ক’বেন ? রিষয়ী হইলে বিস্তাশিক্ষা বিষয়ে উপেক্ষা করিতে হইবে—এই বা কোন কথা ? সকলেই কি অর্থোপার্জন উদ্বেপ্তে ২৯ qR-ళితి