পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে অাগমন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পূবে এই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন । এই কলেজট ১৮২৩ - অৰে স্থাপিত হয়।” ব্ৰহ্মা। সুবিখ্যাত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কে ? আমাকে বল । বরুণ। ইনি ১৭৪২ শকে অধুনা মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত বীরসিংহ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ইহার পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। ইনি পাচ বৎসর বয়ঃক্রম কালে পাঠশালায় লেখা পড়া শিক্ষা করিতে আরম্ভ করেন এবং আট বৎসর বয়ঃক্রম কালে কলিকাতায় আইসেন। ১৮২৯ অকে ইনি সংস্কৃত কলেজে ভৰ্ত্তি হন । কলেজের মধ্যে ইনি সব্বোৎকৃষ্ট ছাত্র ছিলেন ; পিতার অবস্থা মন্দ থাকায় পাঠাবস্থায় ইহাকে অনেক কষ্ট পাইতে হইয়াছিল । ১৮৩৬ অব্দে ইনি দীর পরিগ্রহ করেন। ১৮৪১ অব্দে সংস্কৃত কলেজের পাঠ শেষ করিয়া ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে ৫৯ টাকা বেতনে প্রধান পণ্ডিতের পদে নিযুক্ত হন । ১৮৪৬ অব্দে বেতালপঞ্চবিংশতি নামক পুস্তক মূদ্রিত করেন। ঐ অকের এপ্রেল মাসে ইনি পূবেবক্তি বেতনে সংস্কৃত কলেজের সহকারী সম্পাদকের পদ প্রাপ্ত হন । ইহার পর বাঙ্গালার ইতিহাস ইহার দ্বারা প্রচারিত হয়। ১৮৪৯ অঝে ৮• টাকা বেতনের ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের প্রধান কেরাণীর পদে নিযুক্ত হন । এই সময় জীবনচরিত পুস্তক মুদ্রিত এবং ইহার কিছুদিন পরে বোধোদয় গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ১৮৫• অব্দে ইনি ৯০ টাকা বেতনে সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং ১৮৫১ অবো ১৫০ টাকা বেতনে ঐ কলেজের অধ্যক্ষের পদ প্রাপ্ত হন। এই সময়ে ইনি উপক্রমণিকা, ব্যাকরণ কৌমুদীর প্রথম ভাগ প্রচার করেন এবং ইহার এক বৎসর পরে উক্ত ব্যাকরণ-কৌমুদীর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগ প্রকাশিত হয়। ১৮৫৪ অব্দে ইনি বাঙ্গালা ভাষায় অভিজ্ঞান-শকুন্তলা লেখেন এবং বিধবা-বিবাহের প্রথম পুস্তক প্রচার করেন। ১৮৫৫ অব্দে ঐ পুস্তকের দ্বিতীয়ভাগ প্রকাশিত হয়। ইহার প্রার্থনানুসারে ১৮৫৬ অব্দে গবর্ণমেন্ট বিধবা-বিবাহ-বিষয়ক ১৫ আইন প্রবর্তিত করেন। ১৮৬৫ অব্দে ঐশচন্দ্র বিষ্ঠারত্ব প্রথম বিধবাবিবাহ করিয়াছিলেন। হিন্দুরা এই সময় বিদ্যাসাগরের উপর চটিয়া উঠেন, কিন্তু ইনি তাহাতে ভীত না হইয়া আরো অনেকগুলি বিধবা-বিবাহ দিয়া ফেলেন। বিধবা বিবাহ প্রচলিত করিতে গিয়া ইনি গুরুতর ঋণজালে জড়িভূত হইয় পড়িয়াছিলেন। পাইকপাড়ার রাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহ ইহাকে বিস্তর অর্থ সাহায্য করিয়াছিলেন ; কিন্তু to 8