পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৫১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ । মুখণ্ডগানোর আর অপরাধ কি, দশটার সময় এসেছেন আর এ পৰ্য্যস্ত কেবল চীৎকার ক’রে পড়াইয়াছেন । শুদ্ধ কি পড়ান ? বালকগণের মকদ্দমা মামলা শুনতে শুনতে জালাতন হয়েছেন। বাড়ীতে দেখেছেন ত— চারি পাঁচটা ছেলে থাকলে বাপ মার কত কষ্ট, আর ইহাদের একপাল ছেলে আগলাতে হয়, এ কি কম কষ্ট ! - নারা । মাষ্টারদের কিছু উপরি অাছে ? বরুণ । উপরি—চেয়ারে ঠেশ দিয়ে একটু আধটু ঘুমান, তাও কি ছেলেগুলোর ট্যা ভ্যাতে হবার যে আছে ? ব্ৰহ্মা | মাষ্টারদের উপরি নাই কেন ? ছেলেরা হাতে খড়ি দিলে কি কলাপাত ধ’রলে ত সিদে পান ও দোলে ব'থে পাৰ্ব্বণী পান । বরুণ । সে গুরুমহাশয়েরা, ইহার কেন ? ইহারা দশটায় আসেন চারটেয় যান। ইহারা সব বড় লোক, তিন চারিট পাশ করা । এক এক জনের মাইনে একশ দেড়শ টাকা । - ব্ৰহ্মা হবে ; কালে সকলেরই পরিবর্তন দেখচি। নচেৎ তিন চারি টাকার বেশী ত কোন গুরুমহাশয় মাইনে পান নি । দেবগণ এখান হইতে যাইয়া একটী বাজারের মধ্যে প্রবেশ করিলেন । তাহার দেখেন—নানাপ্রকার ফল মূল, তরিতরকারি ও মৎস্তাদি বিক্রয় হইতেছে। বাজারের চতুৰ্দ্ধিকের দোকানে হাড়ি, কলসী, বেণে-মসলা বিক্রয় হইতেছে । নারায়ণ কহিলেন “বরুণ ! এ বাজারটর নাম কি ?” বরুণ। ইহার নাম মাধব বাবুর বাজার। এই বাজারটা ইউনিভারসিটি সিটি বিল্ডিংয়ের ঠিক দক্ষিণে । কলুটোলা-নিবাসী বাবু মাধবচন্দ্র দত্ত এই বাজারটা সংস্থাপন করায় ঐ নাম হইয়াছে । এক্ষণে মৃত গুরুদাস দত্তের পুত্রগণ এই বাজারের অধিকারী। দেবগণ দেখেন—মেছুনির স্বর্ণালঙ্কারে বিভূষিত হইয়া বাজারে বসিয়া মৎস্ত বিক্রয় করিতেছে এবং বাজারে যে সমস্ত লোক আসিতেছে, তাহাদিগকে আদর করিয়া ডাকিতেছে—“ও বাবু, ও খ্যাংরাগুপো লম্বামুখে বাবু, ভাল মাচ নিয়ে যাও ; জিয়ান্ত মাচ, এখনও লাফাচ্ছে।” দেবগণ দেখেন— কতকগুলি লোক মৎস্ত দর করিতেছিল, দরে বনিবনাও না হওয়াতে যেমন তাহারা পশ্চাৎ ফিরিয়া প্রস্থান করিবার উদযোগ করিতেছে, আমনি মেছুনী মাগীরা তাহাদিগের গাত্রে আইস-জল ছিটাইয়া দিয়া কহিতেছে,—“একটু জাস 载°姆